বিনয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন অনিত, পাহাড় নিয়ে হইচই অব্যাহত

বিনয় তামাংয়ের জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন অনিত থাপা। যদিও তারপরও জল্পনা, হইচই অব্য়াহত। বিরোধীরা এখনও ঠাহর করতে পারছেন না, পাহাড়ের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি। ফলে খানিকটা আগোছালো তাঁরা।

Advertisement
বিনয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন অনিত, পাহাড় নিয়ে হইচই অব্যাহতপাহাড়ে হইচই অব্য়াহত
হাইলাইটস
  • আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল দাবি অশোক ভট্টাচার্যের
  • কোনও মন্তব্য করবেন না গৌতম দেব
  • রাজু বিস্তার আক্ষেপ গোর্খারা ভাগ হয়ে যাচ্ছে

বিনয়ের পদত্যাগে পাহাড়ে হইচই চলছেই

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে আচমকা পদত্যাগ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন বিনয় তামাং। যা ঘিরে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি ঠাহর করতে পারছেন বিরোধীরাও। কেউ বলছেন এই ঠিক হয়েছে, কেউ বলছে আরও আগে পদত্যাগ করা উচিত ছিল। অনেকে আবার জিটিএ বোর্ড থেকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন অনিত থাপাকেও। যদিও অনিত এদিন বিরোধীদের উল্লাস স্তিমিত করে নতুন করে গুছিয়ে বসার ইঙ্গিত দিয়েছে।

অনিত থাপা হলেন মোর্চা-২ এর সভাপতি

শুক্রবার দলের ভবিষ্যত কি হবে, তা নিয়ে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অনিত থাপা। তিনি বিনয়ের পদত্যাগের পর সভাপতি হিসেবে শপথ নেন। ফলে অনেকেই দল ভেঙে যাবে বলে মনে করলেও নতুন করে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে অনিত।

অশোকের কটাক্ষ

বিনয়ের পদত্যাগ নিয়ে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, বিনয় ও অনিতের অনেক আগেই জিটিএ (GTA) প্রশাসক বোর্ড থেকে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল। নির্বাচন না করে সরকারের মনোনীত হয়ে প্রশাসক হয়ে বসে ছিল। জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই। ২০১৭ সাল থেকে ৬ মাসের বেশি সময় প্রশাসক থাকতে পারে না। প্রায় ৪ বছর থেকে এই দুজন প্রশাসক হিসেবে রয়ে গেলেন। সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিলেন। তাই এখন দল পরিবর্তন করল কি না, তাতে কোনও আসে যায় না। তবে সরকারের উচিৎ অবিলম্বে পাহাড়ে জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচন করা। পাহাড়ের মানুষ বেছে নেবে কে কারা জিটিএ, পঞ্চায়েত ও পৌরসভার ক্ষমতায় থাকবে।

গৌতমের মুখে তালা

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, বিনয় তামাং একটি দল তৈরি করেছিলেন এবং তিনি তার সভাপতি ছিলেন। তবে কেন তিনি পদত্যাগ করলেন সেটা তার ব্যাপার। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। 

রাজুর আক্ষেপ

অপরদিকে এই প্রসঙ্গে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, "একটা রাজনৈতিক দল যদি মিথ্যা, দুর্নীতি, আদর্শহীনতা নিয়ে তৈরি হয় আর মানুষের স্বার্থে কাজ না করে থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দলের যা হওয়া উচিত তাই হয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২ জিটিএ'র ক্ষমতা ভোগ করেছে। মানুষের স্বার্থে কাজ করার পরিবর্তে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং নিজেদের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে বেশি লিপ্ত হয়ে যায়। আর মোর্চা ২ প্রমাণ করল যে রাজনীতি কাটমানির, দুর্নীতি দিয়ে বেশি দিন রাজনীতি করা যায় না। আমার দুঃখ হয় গোর্খারা বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো দলের পতাকা, জামা বদলানোর থেকে বেশি  পরিবর্তন করেছে করেছে। এই ধরণের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সমস্যাজনক। তবে আমি পাহাড়বাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি পাহাড়বাসীর জন্য নিরন্তর কাজ করে যাব।"

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement