দার্জিলিংয়ে পাঁচে পাঁচ করেও স্বস্তি নেই বিজেপির, ভোটে লড়বে কে?

উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছে বিজেপি। অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলার সঙ্গে দার্জিলিং জেলাতেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে শাসক দল তৃণমূলকে। তারপরও স্বস্তিতে নেই তারা। আসন্ন পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফুরফুরে থাকার বদলে সংগঠন নিয়ে জেলায় বড় চিন্তা। তৃণমূলের মোকাবিলা করা যাবে কী! উত্তর নেই দলের কাছে

Advertisement
দার্জিলিংয়ে পাঁচে পাঁচ করেও স্বস্তি নেই বিজেপিরশিলিগুড়িতে বিধানসভা-লোকসভার সাফল্য ধরে রাখতে পারবে বিজেপি ?
হাইলাইটস
  • পাঁচে পাঁচ করেও স্বস্তিতে নেই বিজেপি
  • নীচুস্তরে লোক কোথায় মাথায় হাত
  • শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া নিয়ে আশঙ্কা

লোকসভা-বিধানসভার সাফল্য চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপির

উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছে বিজেপি। অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলার সঙ্গে দার্জিলিং জেলাতেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে শাসক দল তৃণমূলকে। ফলে আসন্ন পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকটাই ফুরফুরে থাকার কথা গেরুয়া বাহিনীর। কিন্তু কার্যত দার্জিলিং জেলাতে উল্টো চিত্র।

জিতেও বিপত্তি

অন্য জেলার মতো এখানে এখনও দলবদল-এর গেরো মাথায় না চাপলেও ৫ বিধায়কের একজনও বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যাচ্ছেন বলে মাঝেমধ্যে জল্পনা শোনা গেলেও, তা এখনও বাস্তব রূপ দেখেনি। বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, সে সম্ভাবনা কম। তবে তার মধ্যেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে চাহিদা বাড়ছে।

সংগঠন কোথায় ? মাথায় হাত

বড় ভোটে জিতে গেলেও এই সমস্ত আঞ্চলিক ভোটে জিততে হলে যে সংগঠন এবং শক্তি দরকার, তার কোনওটাই এখনও জোগাড় করে উঠতে পারেনি তারা। দলের মধ্যে তাই এখন মাথায় হাত, পরবর্তী নির্বাচনগুলি চলবে কীভাবে। 

বুথ এজেন্ট দিতে পারা যাবে তো !

ছোট ছোট এলাকায় বুথ, মন্ডল স্তরে নেতা থাকলেও কর্মী নেই। যাঁরা আছেন শুধুই সমর্থক। তাঁদের দিয়ে নির্বাচন করা চাট্টিখানি কথা নয়। গত নির্বাচনগুলিতে বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে ভোটচিত্র দেখা গিয়েছে, তাতে বাইরের কোনও রকম সাহায্য তাঁরা পাবেন না, ধরে নিচ্ছেন। তার ওপর দলীয় সংগঠন তৈরি হয়নি। এমনকী বুথ এজেন্ট করতে পারা যাবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে বিজেপির মধ্যে।

দলবদলের আশঙ্কাও রয়েছে

শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি, নক্সালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, বাতাসি, পানিট্যাঙ্কি, বিধাননগর, লিউসিপোখরি এলাকাগুলিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে গিয়ে আসন ছিনিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন হবে বলেই মনে করছে তারা। তার উপর বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক বিধায়ক, নেতা দলবদল করে চলেছেন। তার মধ্য়েই চাপে পড়ে গ্রাম স্তরে আসন্ন কয়েক মাসে বেশ কিছু নিচু স্তরের দলীয় কর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।

খড়িবাড়ি ছাড়া বাকি জায়গায় সংগঠন তলানিতে

Advertisement

দলের এক শীর্ষ নেতা নিজেই স্বীকার করেছেন সংগঠন তৈরি করা যায়নি। একমাত্র খড়িবাড়ি ব্লকের বেশ কিছু এলাকা ছাড়া বাকি জায়গাগুলোতে লড়াই ফিরিয়ে দেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ। তবে প্রকাশ্যে অবশ্য কেউই মুখ খুলছেন না দলীয় বাধ্যবাধকতা থেকেই।

দাবি, সব ঠিক আছে

বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথকে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সংগঠন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সময় মত সব কাজ হয়ে যাবে। আমাদের সমস্ত ঠিক রয়েছে। পঞ্চায়েত পুরভোটে কঠিন লড়াই হবে। কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না।

 

POST A COMMENT
Advertisement