রাত দেড়টা নাগাদ একের পর এক জোরালো বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। রাত গভীর হলেও অনেকেই তখনও জেগে ছিলেন। বিগত কিছু বছরে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা কোচবিহারবাসীর কাছে এ আওয়াজ চেনা। বোমাবাজি হচ্ছে বুঝতে পেরে কেউই বিপদ বাড়াতে বাড়ির বাইরে বের হননি। আওয়াজটা আসে স্থানীয় বাসুদেব রায়ের বাড়ি থেকে। তিনি আবার তৃণমূল অঞ্চল কমিটির যুব সভাপতি।
আচমকা বোমাবাজির পিছনে কে বা কারা তা যেমন এখনও জানা যায়নি, তেমনই খোদ ওই তৃণমূল নেতাও কারা এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে, তা প্রকাশ্যে জানাননি বা জানাতে পারেননি। তিনি অভিযোগ না করলেও এলাকায় অশান্তি যাঁরা ছড়াতে চাইছে, তাঁদের দ্রুত গ্রেফতারির অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকা। তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা বোমাবাজি হচ্ছে বুঝতে পারলেও বাড়ির লোক তাঁকে রাতে বের হতে দেননি। সারা রাত জেগে থাকার পর সকালে উঠে তাঁরা দেখতে পান একাধিক ফেটে যাওয়া বোমার অংশ। অভিযোগের ভিত্তিতে সকালে বাড়ির সামনে থেকে বোমার অংশ উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ পুলিশের দাবি এগুলি সব হাতবোমা। যার বিস্ফোরণের শক্তি কম।
কোচবিহারের চিলাখানার ঘটনা৷ ঘোগারকুঠি গ্রামে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির যুব সভাপতি বাসুদেব রায়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। কেন এই বোমাবাজি তার তদন্ত করছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে স্থানীয় এলাকায় মাটি কাটা নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিবাদ চলছিল। তার জেরে ভয় দেখাতে এমন ঘটনা ঘটলেও ঘটে থাকতে পারে। তবে মুখ খোলেননি ওই নেতা।