scorecardresearch
 

মালদায় ধৃত চিনা নাগরিক গুপ্তচর বলে অনুমান! এসেছিল বাংলাদেশ হয়ে

মালদায় ধৃত চিনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে ধৃত ওই নাগরিক একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। এর আগেও একাধিকবার ভারতে এসেছিল সে। ওই ব্যক্তি  কোনও এক চিনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলেই সন্দেহ  সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর।

Advertisement
ধৃত চিনা নাগরিক ধৃত চিনা নাগরিক
হাইলাইটস
  • মালদায় ধৃত চিনা নাগরিক গুপ্তচর বলে অনুমান
  • বাংলাদেশ হয়ে ভারতে এসেছে সে
  • জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা

মালদায় ধৃত চিনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে ধৃত ওই নাগরিক একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। এর আগেও একাধিকবার ভারতে এসেছিল সে। ওই ব্যক্তি  কোনও এক চিনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত বলেই সন্দেহ  সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার হান জুনওয়ে নামে ওই চিনা নাগরিককে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। এরপর এই চীনা নাগরিককে আটক করে বিএসএফ। খবর দেওয়া হয় পুলিশ কর্তাদের। মূলত, মালদহ  কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মিরিক সুলতানপুরে ঘুরতে দেখা যায়। বিএসএফ জানিয়েছে, হান চিনের হুবাই প্রদেশের বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে চলতি বছরের ২রা জুন হান বাংলাদেশে এসেছিল। সেখানে এক চিনা বন্ধুর কাছে ছিল। ৮ই জন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের একটি হোটেলে ছিল। ১০ জুন ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে সে। তখন টহলদারি বিএসএফ জওয়ানদের নজরে সে পড়ে যায়। কিন্তু জওয়ানদের দেখা মাত্র পালাতে শুরু করে হান। পরে তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে জওয়ানরা। 

বিএসএফ জানিয়েছে, জেরায় তারা জানতে পেরেছে হান একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। এর আগে ৪ বার ভারতে এসেছিল সে। ২০১০ সালে হায়দ্রাবাদের এসেছিল।  ২০১৯ সালের পরে তিনবার দিল্লি গুরুগ্রামে এসেছিলে সে। সেখানে একটি হোটেলে বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিক কাজ করেন বলে দাবি। সেখানে তাঁর কয়েকজন বন্ধু রয়েছে বলে জানিয়েছে হান। এমনকি ওই ব্যক্তির ব্যবসায়িক পার্টনার সান জিয়াংকে গ্রেফতার করেছে লখনউ এটিএস। তারপরেই থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল হান।  তল্লাশির সময়ে হানের থেকে,  ১ টি  অ্যাপল ল্যাপটপ, ২টি  আইফোন মোবাইল, ১ টি বাংলাদেশ সিম, ১টি  ভারতীয়  সিম, ২টি  চাইনিজ সিম, ২টি  পেন ড্রাইভ, ৩টি  ব্যাটারি, ২ টি ছোট টর্চ, ৫টি  টাকা  লেনদেনের  মেশিন, ২ টি এটিএম / মাস্টার কার্ড, ইউএস ডলার, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রাও উদ্ধার করা হয় ।

Advertisement

বিএসএফ নিজের বিবৃতিতে জানিয়েছে, হানকে গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থা এই কাজে একত্রে কাজ করছে। কোনও এক চিনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে হান কাজ করত বলে অনুমান করছে বিএসএফ। আপাতত তাকে কড়া নজরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement