রিচার্জ ভাউচার নেই
দোকানে যাচ্ছেন, রিচার্জ ভাউচার নেই। দোকানকর্মীকে অনলাইনে ভরে দিতে বললেও তিনি ভরে দিতে পারছেন না। জানাচ্ছেন, ব্যালেন্স দিচ্ছে না কোম্পানি। গত প্রায় মাসাধিককাল ধরে একই সমস্যায় ভুগছেন উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার বিএসএনএল গ্রাহকরা।
অনলাইন ছাড়া বিকল্প নেই
একমাত্র যাঁরা নিজেই অনলাইনে নিজের রিচার্জ করতে পারেন, তাঁরা রিচার্জ করাচ্ছেন। বাকি সিংহভাগই অনলাইনে নিজের মোবাইল রিচার্জ করাতে সক্ষম নন। ফলে তাঁদের যোগাযোগ প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের তরফে তা নিয়ে খুব একটা হেলদোল রয়েছে, তাও নয়। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে একের পর এক গ্রাহক বিএসএনএল ছেড়ে অন্য প্রোভাইডারের চলে যাচ্ছেন। বিএসএনএলের তরফে হাত তুলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত কলকাতা থেকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তাদের কিছু করার নেই।
সমস্যার কারণ কী
কিন্তু এমন সমস্যা কেন? বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ রিচার্জ ভাউচার বাজারের ছাড়ছেন না, তা তো নয়। আবার গোটা রাজ্যে কিংবা দেশের সব জায়গাতেই তাদের সার্ভিস নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে। তাহলে শিলিগুড়িতে কি সমস্যা?
আপাতত ফ্রাঞ্চাইজি নেই
খোঁজ নিয়ে জানা গেল গোটা উত্তরবঙ্গের বিএসএনএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মাত্র একটি। সেখান থেকে গোটা উত্তরবঙ্গের মোবাইল রিচার্জ এবং ব্যালেন্স সমগ্র উত্তরবঙ্গে সরবরাহ করা হতো। যিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, ওই সংস্থার কর্ণধার, তিনি কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। তারপর পুরনো চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিএসএনএলের তরফে। গোটা উত্তরবঙ্গের আর কোনও ফ্রানচাইজি না থাকায় সার্ভিস বন্ধ হয়ে রয়েছে।
বিকল্প ব্যবস্থা কবে হবে জানা নেই
এখন যতক্ষণ পর্যন্ত না নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবেই চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের জন্য অবশ্য নিজে নিজে অনলাইনে রিচার্জ করার সুবিধা রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে মাত্র এক শতাংশ মানুষও অনলাইনে রিচার্জ করেন না।
প্রোভাইডার বদলে ঝোঁক
ফলে আচমকা বিপাকে পড়ে দু-একজন শিখে নিলেও, বেশিরভাগই নিজের সার্ভিস প্রোভাইডার বদলে নেওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন। এখন যতদিনে বিকল্প ব্যবস্থা হবে, ততদিন হয়তো অর্ধেক গ্রাহক হারাবে সরকারি টেলিকম সংস্থাটি।
এমনিতেই নেটওয়ার্ক নিয়ে অভিযোগ
গ্রাহকরা অনেকেই বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক, টাওয়ার এবং অন্যান্য সুবিধা নিয়ে ক্ষুব্ধ। তার মধ্যে এভাবে গয়ংগচ্ছ মনোভাব থাকলে যে কজন গ্রাহক রয়েছেন, তাঁরাও আর থাকবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।যেখানে প্রাইভেট টেলিকম সংস্থাগুলি বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে নথিপত্র জমা করে রাতারাতি সংযোগ চালু করে দিচ্ছে, সেখানে বিএসএনএল এতটা উদাসীন হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হবে ওই সংস্থাকেই।