করোনার তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা। কারণ এই ওয়েভে শিশুদের নিয়ে ভয় দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্য়েই করোনার দ্বিতীয় ওয়েভেও শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছে। ফলে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ তৈরি হয়েছে। কারণ শিশুদের ক্ষেত্রে সর্বত্রই বাড়তি উদ্বেগ কাজ করে বাবা মায়ের মনে। সেই জায়গা থেকে বিকল্প চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। নেওয়া হচ্ছে বাড়তি উদ্যোগ।
আগাম সতর্কতা রাজ্যে
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা প্রবল। এই ঢেউয়ে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তাই আগে থেকেই প্রতিটি জেলাকে সতর্ক করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় তৈরি করা হচ্ছে পিকু ইউনিট।
উত্তরবঙ্গের করোনা চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা সুশান্ত রায়ের দাবি
শুক্রবার মালদায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে নিয়ে। বৈঠক শেষে এ খবর জানান উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায়। তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এখন থেকে প্রস্তুত হচ্ছি।.ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অনেক জায়গাতেই এই বন্দোবস্তের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কত শয্যার পিকু ওয়ার্ড
এমনিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, শিলিগুড়ি হাসপাতালে পিকু ওয়ার্ড রয়েছে। তবে করোনা মোকাবিলায় পৃথক পিকু ওয়ার্ড দরকার বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ পিকু ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত শিশুদের অন্য শিশুদের সঙ্গে রাখা সম্ভব নয়। প্রতিটি জেলায় ২০ টি বেডের পিকু ওয়ার্ড তৈরি হবে।
বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেড বাড়ানো হবে
এ ছাড়াও করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এর মোকাবিলা করতে উত্তরের জেলার প্রতিটি হাসপাতালে ৫ টি করে করোনা বেড তৈরি করা হবে। মালদা মেডিকেল কলেজে আরও নতুন করে ১৫০ টি বেড বাড়ানো হবে।.মালদা জেলায় মোট ৭০০ টি করোনা বেড তৈরি করা হবে।.জেলায় আরও ১০ গুন সেফ হাউস বাড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন ওএসডি।