scorecardresearch
 

গাছের পাতায় করোনামুক্তি! করোনাহীন কালিম্পংয়ের গ্রাম ঝাণ্ডি

করোনা মুক্ত গ্রাম। এও কী সম্ভব! এমনই অসম্ভব ঘটনাই সম্ভব হয়েছে ডুয়ার্সের একটি গ্রামে। কালিম্পং জেলার ঝাণ্ডি নামে একটি ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্র এখন দিশা দেখাচ্ছে গোটা দেশকে। ভেষজ স্য়ানিটাইজারেই করোনা থাকছে দূরে! এমনটাই দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।

Advertisement
ঝাণ্ডি ফাইল ছবি ঝাণ্ডি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • গাছের পাতার রসই স্যানিটাইজার !
  • কলকাতা ফিরতে চান না দম্পতি
  • প্রকৃতিই আটকাচ্ছে করোনা

করোনামুক্ত গ্রাম

করোনা মুক্ত গ্রাম। এও কী সম্ভব! এমনই অসম্ভব ঘটনাই সম্ভব হয়েছে ডুয়ার্সের একটি গ্রামে। কালিম্পং জেলার ঝাণ্ডি নামে একটি ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্র এখন দিশা দেখাচ্ছে গোটা দেশকে।

মাস্ক নেই স্যানিটাইজার নেই, তবু করোনা রয়েছে দূরে

যখন সারা বিশ্ব করোনার অতিমারিতে বিপর্যস্ত, তখন প্রকৃতির কোলে অবস্থিত একটি গ্রাম, যে গ্রামে আজও করোনা থাবা বসাতে পারেনি। কারও মুখে নেই কোনও মাস্ক। জানেন না স্যানিটাইজার কিংবা ফেস মাস্কের ব্যবহার। তবু তাঁরা করোনামুক্ত।

ভেষজেই করোনামুক্তি!

কিন্তু কোন যাদুবলে তাঁরা করোনাকে ঠেকিয়ে রেখেছেন! খোঁজ নিতে জানা গেল, বিষাক্ত পোকামাকড় মারার জন্য এলাকার বাসিন্দারা একটি ভেষজ গাছ ব্যবহার করেন। স্থানীয় ভাষায় নাম তার টিতেপাতি। ইংরেজিতে বলা হয় আর্টেমিসিয়া। এই সেই ভেষজ গাছের পাতার রস জলে ভিজিয়ে শরীরে অথবা বাড়িতে ছিটিয়ে দেন তাঁরা। আর বাড়ি হয়ে যায় ফুল স্যানিটাইজ! তাঁদের এমন ব্যাখ্যা সঠিকভাবে যাচাই করা হলে, চমকপ্রদ সাফল্য লাভ করতে পারে বিজ্ঞান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মাস্কে অনীহা এলাকাবাসীর

এলাকার তরুণ যুবকরা জানান, মাস্ক পড়লে তাঁদের নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। তাই তাঁরা বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছেন। এতেই তাঁদের সাফল্য, এই ভাবেই তাঁরা ফিট থাকবেন। সমুদ্রতল থেকে ৬ হাজার ২০১ ফিট উপরে অবস্থিত গরুবাথান ব্লকের একটি গ্রাম ঝান্ডি। এখনও থাবা বসাতে পারেনি এই মারণ করোনা ভাইরাস।

করোনা থেকে বাঁচতে স্থায়ী বাসিন্দা হতে চান কলকাতার দম্পতি

গত দুমাস ধরে কলকাতার দম্পতি করোনার ভয়ে শহর ছেড়ে এই গ্রামে এসে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন। তাঁদের বক্তব্য, যখন কলকাতায় করোনার গ্রাফ উর্দ্ধে এবং আমাদের মত বয়স্ক মানুষ করোনাকে ভয় পেয়ে একঘরে হয়ে বসে ছিলাম । তখন আমার একমাত্র সন্তান আমাদের কে যেন না হারিয়ে ফেলে , তার জন্য আমাদেরকে এক প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম ঝান্ডি নিয়ে রেখে দিয়ে গিয়েছে। যাতে করোনা আবহাওয়াতে এ পৃথিবী ছেড়ে না চলে যাই।

Advertisement

আনন্দধারা বহিছে ভুবনে

এই দুই দম্পতি খুব আনন্দে এই গ্রামের সময় কাটাচ্ছেন। ওঁদের বক্তব্য, আর ইচ্ছে করে না এই সবুজ গ্রাম ছেড়ে যেতে। এখানে এখনও শীতের আমেজ ও  চাদর গায়ে দিয়ে আছি। এত ভালো গ্রাম ছেড়ে কলকাতার ব্যস্ত শহরে আর ফিরতে ইচ্ছে করছে না । এখানে প্রকৃতি এত শক্তিশালী যে কোরোনা কে  থাবা বসাতে দেয়নি। তাই সব মানুষরা এখানে সুরক্ষিত । 

তাঁদের প্রশ্ন শহরবাসীর কাছে

আমরা কি পারি না, করোনামুক্ত শহর তৈরি করতে? আমরা কি পারিনা সবুজায়ন তৈরি করতে? তাহলে সব জায়গাই ঝাণ্ডি হতে পারে।

 

Advertisement