করোনা মুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত
উত্তরবঙ্গে ঘটনা মুক্তির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সুস্থতার হাড়ের ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে আপাতত স্বস্তি জনক জায়গায় রয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। স্বস্তি ফিরছে স্বাস্থ্য কর্তাদের মধ্যেও।
মৃতের সংখ্যা সর্বনিম্ন
শুক্রবার সারাদিনের হিসেবে করোনা সংক্রমণের হার গত তিন-চার মাসে সবচেয়ে কম ১১ জনে পৌঁছেছে। মৃত ১১ জনের মধ্যে ৪ জন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাকি ৭ জনের মধ্যে ২ জন রায়গঞ্জের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাকি ৫ জন জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
অন্য দিকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শেষ চব্বিশ ঘন্টায় ১ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ১৯৯ জন, কোচবিহারে ২৫০ জন, দার্জিলিংয়ের ৩৪১ জন, কালিম্পং এ ৭৯ জন, জলপাইগুড়িতে ৫১০ জন, উত্তর দিনাজপুরে ১০৫ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১১ জন, মালদায় ৫৮ জন বাসিন্দা রয়েছেন।
সুস্থতার হারে ক্রমবৃদ্ধি
সুস্থতার হার গত এক সপ্তাহ ধরেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এদিনও তার ব্যত্যয় হয়নি। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জন। এর মধ্যে ২২২ জন আলিপুরদুয়ারে, ৩৭৪ জন কোচবিহারে, ৪৬৪ জন দার্জিলিঙে, ১০৮ জন কালিম্পং এ , ৭২৬ জন জলপাইগুড়িতে, ২১৭ জন উত্তর দিনাজপুরে, ১৯৫ জন দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় ২৩৬ জন বাসিন্দা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনা আবহ কাটেনি, সক্রিয় পুলিশ
এদিকে দোকানপাট রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ায় অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াত ও খোলা ঘুরে বেড়ানোর সংখ্যা বেড়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। ফলে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন কোনও রকম ঢিলেমি না দেন। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, রায়গঞ্জ, মালদা বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে শতাধিক আটক গ্রেফতারের সংখ্যা সামনে এসেছে।