scorecardresearch
 

তিন মাসের পুরনো রিপোর্টে উত্তরবঙ্গে ডেল্টা আতঙ্ক

তিন মাসের পুরনো রিপোর্টে উত্তরবঙ্গে ডেল্টা আতঙ্ক। যাঁরা ডেল্টা আক্রান্ত বলে প্রচার হচ্ছে, তাঁরা প্রত্য়েকেই দুমাস আগে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের কেউই এখন আর অসুস্থ নন। বরং এতদিন পর রিপোর্ট পেয়ে কী লাভ প্রশ্ন তুলছেন খোদ চিকিৎসকরাই।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ডেল্টা নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে
  • উত্তরবঙ্গে ডেল্টা সব পুরনো রিপোর্ট
  • সাবধানে থাকলে ভয় নেই, পরামর্শ চিকিৎসকের

ডেল্টা নিয়ে অযথা আতঙ্ক উত্তরবঙ্গে

উত্তরবঙ্গে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। যাঁদের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে রিপোর্ট এসেছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলি মে মাসের পাঠানো রিপোর্ট। যেগুলি পরীক্ষাগারের সংখ্যা কম থাকায় এবং প্রচুর পরিমাণে নমুনা জমা পড়ায় এতদিনে এসে পৌঁছেছে। আর সেগুলি নিয়েই হইচই শুরু করেছে একশ্রেণির লোক। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরাও।

যাঁরা আক্রান্ত বলে প্রচার হচ্ছে, তাঁরা সবাই সুস্থ

যাঁদের নাম ডেল্টায় আক্রান্ত বলে প্রচার হচ্ছে, আসলে তাঁরা প্রত্য়েকেই দীর্ঘদিন আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ফলে ডেল্টা আক্রান্ত বলে প্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে দাবি করেছেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দায়িত্বশীল চিকিৎসকদের একাংশ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।

ডেল্টা ভয়ঙ্কর নয়, দাবি চিকিৎসকের

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ কল্যাণ খান জানান, অযথা উদ্বেগের কারণ নেই। কারণ দ্বিতীয় ওয়েভে করোনা আক্রান্তের বেশিরভাগই করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ফলে যাঁরা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, তাঁরাও এই ভ্যারিয়েন্টই। বিদেশে যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে সামান্য ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে, সেটাই ভারতের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে অনেক দুর্বল। সাবধানে থাকলেই এই ভ্যারিয়েন্ট এড়ানো যাবে বলে মনে করছেন তিনি।

তিন মাস পরে আসছে রিপোর্ট, চিকিৎসা কখন হবে ? 

পাশাপাশি তিন মাস পরে রিপোর্ট আসা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কল্যাণবাবু বলেন, আরও বেশি পরীক্ষাগারের সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ। নইলে তিনমাস পরে রিপোর্ট আসলে কোনও লাভ নেই। কারণ চিকিৎসার সুযোগই পাওয়া যাবে না। যাঁদের উত্তরবঙ্গে ডেল্টা আক্রান্ত বলে বলা হচ্ছে, তাঁরা আসলে আক্রান্ত হয়েছিলেন, কিন্তু প্রত্য়েকেই সুস্থ। দুমাস আগেই সবাই বাড়ি গিয়েছেন। সুতরাং অপপ্রচার ও আতঙ্ক না ছড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

Advertisement

তথ্য সংগ্রহে জোর মেডিক্য়ালের

তবে আরও নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে কি না, তার খোঁজে পরীক্ষায় জোর দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যারা দুটি ডোজ টিকা নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। 

নমুনা পাঠানো হচ্ছে

মূলত যাঁরা টিকার দুটি ডোজ নিয়ে ফেলছে তার যদি নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয় সেই ক্ষেত্রে তাদের লালা রস ও টিস্যু সংগ্রহ করে কল্যাণীর জেনোমিক্স ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি একই পরিবারের যদি এক সঙ্গে সকলে আক্রান্ত হয় তাঁদেরও তথ্য সংগ্রহ করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

সতর্কতার বাণী ডিনের

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন ডাক্তার সন্দীপ সেনগুপ্ত অবশ্য ডেল্টা নিয়ে বেশি সতর্ক। তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রামক রূপ অনেকটাই বেশি। যার ফলে অতি সহজেই এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে। একই সঙ্গে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউতে ফুসফুসে সংক্রমণ হতে যতটা সময় লাগছিল এই ভ্যারিয়েন্টে তার থেকে কিছুটা কম সময় ফুসফুসকে সংক্রমণ করবে।

 

Advertisement