দলীয় পতাকা লাগিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যম্প। বিতর্ক শুরু শিলিগুড়ি বাঘাযতীন কলোনিতে। এর আগে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি হওয়ায় রাজ্যের অন্য এলাকার সঙ্গে শিলিগুড়িতেও বন্ধ ছিল এই ক্যাম্প। চলতি ২০২২ সালে এই প্রথম করোনার প্রকোপ কাটিয়ে দুয়ারে সরকার ফের শুরু হলো।
দুয়ারে সরকারে গোলমাল
শিলিগুড়ির জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। শিলিগুড়ির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের, বাঘাযতীন কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেও শুরু হয়েছে এই ক্যাম্প। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুল চত্বরে দলীয় পতাকা লাগিয়ে সহায়তা ক্যাম্প তৈরি করেছে শাসক দলের কর্মীরা। যা নিয়ে, বিতর্ক দানা বাধে। স্থানীয় কিছু বিরোধী দলের সদস্যরা অভিযোগ করতে শুরু করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে।
মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে সমস্য়া সমাধান
এ বিষয়ে ক্যাম্পের আধিকারিক রাকেশ দে জানান, "বিষয়টি পুর-কমিশনারকে জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।" খবর পেয়ে দ্রুত ঐ ক্যাম্পে পৌঁছান শিলিগুড়ি মহকুমাশাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাটিল। দ্রুত দলীয় পতাকা খুলে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। এ ধরণের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়েও নজরদারি করবার নির্দেশ দেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প পরিদর্শনও করেন তিনি।
পতাকা খুলিয়ে দেওয়া হয়
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "বিষয়টি নজরে আসতেই, খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখলেন, সমস্ত দলীয় পতাকাই খুলে ফেলা হয়েছে।" এছাড়াও এবারের ক্যাম্পে, কৃষকবন্ধু ক্রেডিট কার্ড, মৎসজীবীদের ক্রেডিট কার্ড সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প সংযোজন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, "দলীয় পতাকা নিয়ে, সরকারি প্রকল্পের ক্যম্প বসবে, এ বিষয় কোনওমতে মানা যায় না। বিষয়টি নিয়ে, পুর-কমিশনারকে জানিয়েছি। ভাবী মেয়র গৌতম দেবকেও ফোনে জানিয়েছি। এ ধরণের পরিবেশ আগে কখনও ছিল না। বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে দেখা উচিৎ।"
সিপিএম কাউন্সিলরের ক্ষোভ
শিলিগুড়িতে সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এই ওয়ার্ডটিতে সিপিএম জিতেছে। প্রাক্তন বাম মেয়র নুরুল ইসলাম এই ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন। ওয়ার্ড হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও সদস্যদের। তা থেকেই এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।