বৃষ্টি হতেই, ফ্যান বন্ধ-গায়ে চাদর, হিমেল বাতাসে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ

এমনিতেই গরম খুব একটা ছিল না, তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খানিকটা বেশি হওয়াতে ফ্য়ান চালিয়ে বাষ্প দূরিকরণ চলছিলই। শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হতেই, ফ্যান বন্ধ। বেরিয়ে পড়ল চাদর, পোশাক। হিমেল বাতাসে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ।

Advertisement
বৃষ্টি হতেই, ফ্যান বন্ধ-গায়ে চাদর, হিমেল বাতাসে কাঁপছে উত্তরবঙ্গফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • বৃষ্টি হতেই ঠাণ্ডা ভাব উত্তরবঙ্গে
  • ফ্যান বন্ধ, চাদর গায়ে
  • হিমেল হাওয়ায় শিরশিরানি তরাই-ডুয়ার্সে

দক্ষিণবঙ্গ দাবদাহে কাতর থাকলেও উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা আরামদায়ক ছিল। গ্রীষ্মের শর্ত মেনে ফ্যান চালানোতে অবশ্য কোনও বিরাম ছিল না। এমনিতেই গরম খুব একটা ছিল না, তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খানিকটা বেশি হওয়াতে ফ্য়ান চালিয়ে জলীয় বাষ্প দূরিকরণ অভিযান চলছিলই। শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হতেই, ফ্যান বন্ধ। বেরিয়ে পড়ল চাদর, পোশাক। হিমেল বাতাসে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ।

"হাওয়া দিল শিরশিরানিটা"

শনিবার থেকে গোটা রাজ্যে আবহাওয়া বদলের পূর্বাভাস ছিলই। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেরে দক্ষিণবঙ্গে। হাঁসফাঁস গরম থেকে মুক্তি মেলে আপাতত। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সাধারণ মানুষও। একইভাবে উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা খানিকটা নামলেও, হিমেল বাতাস শীতের অনুভব এনে দেয়। চাদর, মোটা পোশাকে গা ঢেকে ফেলেন তরাই-ডুয়ার্সের মানুষ। কনকনে না হলেও শিরশিরানি হাওয়ায় শীতের মৌতাত।

দক্ষিণে দাবদাহ থেকে মুক্তি

শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল মেঘলা আকাশ। সন্ধ্যার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি সহ কালবৈশাখী শুরু হয়। উত্তরবঙ্গে এটা শুরু হয় রাতের দিকে। রাত ১০ টার পর আছড়ে পড়ে মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টিও হয়েছে। কলকাতাতেও ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতায়। আর এর জেরেই সামান্য কমেছে তাপমাত্রা। যার জেরে কিছুটা হলেও সকাল থেকে একটা স্বস্তির পরিবেশ থাকলেও তাপমাত্রা বেড়েছে বেলা বাড়তেই। দাবদাহ না থাকলেও গরম কমেছে বলা যাবে না।

উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা ২৫ এর নীচে

দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। যদিও উত্তরবঙ্গ ৩০ এর মধ্যেই মোটামুটি অবস্থান করেছে। বৃষ্টির চাহিদা না থাকলেও প্রকৃতি একসঙ্গে ঢেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যে। ফলে পাহাড়ে ৪-৬ ডিগ্রি পৌঁছে গিয়েছে। সমতলে তা দাঁড়িয়েছে ২০-২৩ ডিগ্রিতে। তবে কনকনে হাওয়া বাতাসে হিহিভাব ধরিয়ে দিয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারে একইরকম আবহাওয়া ছিল।দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতে অবশ্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও পরিবেশ বজায় ছিল।

এদিনও বৃষ্টি তরাই-ডুয়ার্সে

Advertisement

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে শনিবারও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।এমনকী কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকাতে অবশ্য শনিবারও আকাশ মেঘলাই রয়েছে। বৃষ্টিও হয়েছে কয়েক দফায়। এই বৃষ্টি আরও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement