বাজ পড়ে মৃত্যু হল একটি দাঁতালের। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে জলদাপাড়া অভয়ারন্যে।
ভুট্টা খেতে গিয়েই বিপত্তি
বনকর্মীদের চোখের সামনেই বজ্রাঘাতে ছটফট করতে করতে মৃত্যু হল এক পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতির।
ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার গভীর রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন খাঁউচাঁদপাড়া গ্রামে। সোমবার রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে খাবারের সন্ধানে দলছুট হয়ে খাঁউচাঁদপাড়া গ্রামের একটি ভুট্টা খেতে প্রবেশ করে দুটি দাঁতাল হাতি।
বৃষ্টি সহ বজ্রপাত
সেই সময় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় প্রচন্ড পরিমানে বজ্রপাত হচ্ছিল। গ্রামে হাতি ঢোকার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা।
বনকর্মীদের উদ্যোগ সত্ত্বেও মৃত্যু
ওই হাতি দুটির এবং স্থানীয়দের কোনও ক্ষতি যাতে না হয়, তাই বজ্রপাতকে উপেক্ষা করে প্রাণ হাতে নিয়েই হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে ব্যস্ত ছিলেন বনকর্মীরা। যদিও দাঁতাল হাতিটির প্রাণ রক্ষা করতে পারেননি বনকর্মীরা।
ঘটনার ক্লাইম্যাক্স
বনকর্মীদের তাড়ায় হাতি যুগল জঙ্গলে প্রবেশের আগে স্থানীয় এক প্রাথমিক স্কুলের মাঠে পৌঁছতেই একটি হাতির দেহে প্রকান্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বনকর্মীদের চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দাঁতাল হাতিটি। মাত্র পাঁচ মিনিটেই মৃত্যু হয় দাঁতালটির।
অপর হাতিটির বরাত ভাল
যদিও বরাত জোরে বেঁচে যায় অপর হাতিটি। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০০৭ সালেও বজ্রপাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে এক সঙ্গে পাঁচটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর জানিয়েছেন, "ময়নাতদন্তের পর দেখা গিয়েছে হাতিটির হৃদযন্ত্রে রক্ত জমাট বেঁধে কালো হয়ে যাওয়ার দরুণ হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। যার থেকে আমরা নিশ্চিত যে বজ্রপাতের কারনেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।"