scorecardresearch
 

পাহাড়-জঙ্গলের সৌন্দর্য হচ্ছে মহার্ঘ, এখনই টাকা জমান

লকডাউন কাটিয়ে পুজোয় বা তার আগে পাহাড়-জঙ্গল ভ্রমণের ভাবনা রয়েছে ? তা থাকুক। তবে জেনে রাখা ভাল, এই ভ্রমণ আরও মহার্ঘ হতে চলেছে। সৌজন্যে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম। গাড়ি ভাড়া বাড়ানো ছাড়া কোনও গতি নেই। স্বীকার করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement
এ দৃশ্য দেখতে হলে খসতে পারে মোটা টাকা এ দৃশ্য দেখতে হলে খসতে পারে মোটা টাকা
হাইলাইটস
  • জ্বালানির খরচ বেড়েছে, তাই ভ্রমণে খরচ বাড়তে চলেছে
  • টিকাকরণ শুরু পর্যটন সার্কিটে, সুরক্ষা বিধিতে জোর
  • পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে

ঘুরতে এলে বাড়তি রেস্ত খসতে পারে

লকডাউন কাটিয়ে পুজোয় বা তার আগে পাহাড়-জঙ্গল ভ্রমণের ভাবনা রয়েছে ? তা থাকুক। তবে জেনে রাখা ভাল, এই ভ্রমণ আরও মহার্ঘ হতে চলেছে। সৌজন্যে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম। গাড়ি ভাড়া বাড়ানো ছাড়া কোনও গতি নেই। স্বীকার করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বাড়তি টাকা জমানোই ভাল

করোনার টিকাকরণকে হাতিয়ার করে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদন্ড পর্যটনশিল্পকে পুনরুদ্ধারে তৎপর রাজ্য সরকার ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকা সত্বেও পুজোর মরশুমে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধারে আশার আলো দেখছেন পর্যটনের সাথে জড়িত প্রায় দুলক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুজোর বুকিং। তবে উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটকদের এবার তার ট্যুর প্ল্যানে খরচ করতে হবে বাড়তি টাকা।

বুকিং নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়েছে

উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদন্ড পর্যটন শিল্প। করোনার প্রথম ঢেউয়ে লক ডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পর্যটন ব্যবসা। করোনা পরিস্থিতি শিথিল হতে কিছুটা স্বাচ্ছন্দে ফেরা শুরু করেছে এই শিল্প। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউতে একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এই ব্যবসা, সাথেই জীবনজীবিকা নির্বাহে সমস্যায় পরে এই শিল্পের সাথে যুক্ত প্রায় দু লক্ষ মানুষ। কিন্তু করোনার প্রতিষেধক টিকাকরণকে হাতিয়ার করে আবারও পর্যটন ব্যবসাকে ছন্দে ফেরাবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ধীরে ধীরে আবারও শুরু হচ্ছে পুজোর মরশুমের জন্য অগ্রিম বুকিং।

দ্রুত টিকাকরণ করে তৈরি হচ্ছে পর্যটনকর্মীরা

আর তাতেই আশার আলো দেখছে ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে মানুষ রাজ্যের কড়াকড়ি-নিষেধাজ্ঞার জেরে এতদিন পর্যন্ত গৃহবন্দী ছিল। তাই একঘেয়েমি কাটাতে প্রকৃতির মুক্ত বাতাসে কিছুটা সময় কাটাতেই মানুষ এখন মুখিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন কেন্দ্রগুলির দিকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকাকরণ শেষ করতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব উদ্যোগে এবং সরকারি সহযোগিতায় টিকাকরণ ক্যাম্প করে বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত কর্মীদের টিকাকরণ চলছে জোর কদমে।

Advertisement

ট্রেন চালু হওয়ার দরকার

পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, এই মুহূর্তে পর্যটন ব্যবসাকে পুনরুদ্ধারের একটাই উপায় তা হল টিকাকরণ। আগামী এক-দুমাসের মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ টিকাকরণ যদি করানো হয়, তাহলে অনেকটা ছন্দে ফিরবে ব্যবসা। তিনি আরও বলেন জুন মাসে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর যাদের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে তারা রীতিমতো পাহাড়ে ভ্রমণে আসছেন, সেক্ষেত্রে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় স্বাভাবিক হলে পর্যটক অবশ্যই আসবে বলে তারা আশাবাদী। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইতিমধ্যে পুজোর অগ্রিম বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।

গাড়ি ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই

অন্যদিকে, ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড টুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস মৈত্র বলেন, পুজোর অগ্রিম বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এতদিন রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পে । তার ওপর এ বছরের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব ফেলতে পারে পর্যটন ব্যবসাতে। কারণ পেট্রোল-ডিজেল মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাড়বে গাড়ি ভাড়া। সেইসাথে হোটেলের ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস খাবারের দাম বাড়তে পারে। তাই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কিছুটা বাড়তি খরচ হবে পর্যটকদের। সেটা মাথায় রেখেই ঘুরতে আসতে হবে।

কোভিড প্রটোকল মানতে হবে দুপক্ষকেই

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের এর জয়েন্ট সেক্রেটারি তাপসসাধন রায় বলেন, এ বছরের পুজোর মরশুমের জন্য ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তার থেকেও বেশি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ এনকোয়ারি এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে পুজোয় উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের একটা ভালো ঢল নামবে। তবে হোটেল থেকে গাড়ি সমস্ত জায়গাতেই সরকারের কোভিড প্রটোকল যাতে মানা হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে।

 

Advertisement