scorecardresearch
 

দলনেত্রীর সফরের আগেই ফের তৃণমূলের প্রধানকে সরাতে ঘুটঘুটি তৃণমূলেরই

পঞ্চায়েত সদস্যরা নেতৃত্বের কথা শুনছেন না। অভিযোগ তুলে দলেরই নির্বাচিত প্রধান সোমা রায়কে সরাতে বিজেপিকে সঙ্গী করল তৃণমূলের বিধায়ক চন্দনা সরকার। যা ঘিরে তোলপাড় কালিয়াচকের ৩ নম্বর বীরনগর।

Advertisement
চন্দনা সরকার(বাঁদিকে), সোমা রায় (ডানদিকে) চন্দনা সরকার(বাঁদিকে), সোমা রায় (ডানদিকে)
হাইলাইটস
  • দলেনেত্রীর সফরের আগেই কালিয়াচকে অস্থির তৃণমূল
  • দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূলেরই
  • বিজেপির হাত ধরে অনাস্থা ঘিরে চাঞ্চল্য

বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল সদস্যদের। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিধায়ক চন্দনা সরকারের নেতৃত্বে দলেরই প্রধান সোমা রায়ের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা বলে অভিযোগ । যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

শুরু কাদা ছোড়াছুড়ি

কাটমানি না দেওয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার ও তার স্বামী বলে অভিযোগ অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের। অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের। আর এই ঘটনা ঘিরে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান হবে দাবি বিজেপির। দল বিরোধী কাজ বরদাস্ত করা হবে না প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির।                 

ভোটের ফলে আসন বিন্যাসে কে কোথায়

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ৭ টি করে আসন দখল করে। কংগ্রেস ১ টি ও ২ টি আসন দখল করে নির্দল। কংগ্রেস ও নির্দল সদস্যদের সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের সোমা রায়। এবারে তৃণমূল পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপি সদস্যদের সাথে নিয়ে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা। যা ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।

কালিয়াচক

প্রধানের অভিযোগ

ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোমা রায় অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল প্রধানকে সরিয়ে বিজেপির প্রধান করার জন্য স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও তার স্বামী ষড়যন্ত্র করছেন। এলাকার উন্নয়নের কাজ করার পরও তাকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। পুরো বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বীরনগর ২ এর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মনু ঘোষ বলেন, যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে মার খেয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছি। আজ সেই বিজেপিকে সাথে নিয়ে অনাস্থা হচ্ছে। বিধায়ক এবং তার স্বামীকে কাটমানি না দেওয়ায় তৃণমূল প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

Advertisement

অভিযোগকারীর সাফাই

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। তিনি বলেন কাটমানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। অনেক জায়গাতেই পঞ্চায়েত সদস্যরা নেতৃত্বের কথা শুনছেন না। এই বিষয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডল বলেন, ওই প্রধান দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয়েছে। বিজেপির সদস্যরা তাতে মদত নিয়ে করেছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হবে।

কড়া হাতে বিদ্রোহ দমনের বার্তা 

একের পর এক পঞ্চায়েতে অনাস্থা ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। তার মধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কেউ দল বিরোধী কাজ করলে তাকে রেয়াত করা হবে না। দলের বিরুদ্ধে যারা কাজ করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি।

 

Advertisement