তিস্তার সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করছে তিস্তার পাড়ে গজিয়ে ওঠা বেআইনি নির্মাণগুলি। হাইকোর্টের নির্দেশে তিস্তার পাড়ে নির্মাণগুলো ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু করলো জেলা প্রশাসন।
এতদিন জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে একের পর এক নির্মাণ হয়েছে তিস্তার পাট দিয়ে। অভিযোগ পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের মধ্যেই এই নির্মাণ গুলি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। দিলেও লাভ হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে ঐ সমস্ত পারে গজিয়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলিতে ভিড় করছিল প্রচুর পরিমাণ মানুষ। সেই অনিয়ন্ত্রিত ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই কাগজপত্র খতিয়ে দেখে জানা যায় তাদের কাছে বেশিরভাগেরই নির্মাণের কোন অনুমতি নেই। নদীর পাড়ে নির্মাণের অনুমতি থাকার কথাও নয়।
জমায়েত রুখতে পদক্ষেপ নেওয়ার সময়ই দেখা যায় হোটেল-রেস্টুরেন্ট পাশাপাশি কয়েকটি বাড়ি ও বেআইনি নির্মাণ এর মধ্যে পড়েছে। সেগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়।
তিস্তা নদী জলপাইগুড়ি শহরের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে তিস্তার পানি জুবিলি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিন ভিড় জমান বহু মানুষ কননার বাড়বাড়ন্তের সময়ে এই ভিড় থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাস এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ এর বিচারপতি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আগাম নোাটিশ না দিয়ে তাদের দোকান, হোটেলগুলি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায় কারও কোনও আপত্তি ওজর ধোপে টেঁকেনি।
জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা ঘোষের জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। তিস্তা পারে কোভিডের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হাইকোর্টের রায় মেনেই কাজ হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে ফের সেখানে নির্মাণ তৈরি না হয় সে বিষয়টিও নজরে রাখবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।