এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে উৎসবে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে হাজার রকম। তবু বছরকার উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল মালদার প্রান্তিক পরিবার। কিন্তু এভাবে তাঁদের জীবনে ঈদে বিসর্জনের বাজনা বাজবে তা বোধহয় জীবনেও কল্পনা করেননি তাঁরা।
জামা দিতে দেরি হওয়ায় বিপত্তি হতভম্ব পরিবার
খুশির ইদে বাবার কাছে নতুন জামা চেয়েছিল দশ বছরের এক রত্তি মেয়ে। যদিও কাজ কর্ম হারিয়ে পরিস্থিতি তেমন ভালো ছিল না পরিবারের। আংশিক লকডাউনে তেমন কাজ ছিল না বাবার। তবুও মেয়ের আবদারে তাকে না করতে পারেননি। বলেছিলেন, ঈদের সকালে তাকে নতুন জামা কিনে দেবেন। কিন্তু মেয়ের বায়না আগেই দিতে হবে। বাবা চেষ্টা করলেও পারেননি।তর সয়নি মেয়ের।
চিরঘুমের দেশে মেয়ে
বছর দশের অবুঝ কিশোরী চিরতরে মা বাবাকে কাঁদিয়ে রওনা দিল চিরঘুমের দেশে। হতবাক বাবা-মাকে হতবুদ্ধি করে দিয়ে।
গলায় ওড়নার ফাঁস জড়ানো অবস্থায় আবিষ্কার
দশ বছরের মেয়েকে বাড়ির সিলিংয়ের বাঁশের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ছেন ওই দম্পতি। শুধু জামা কিনে দিতে দেরি হওয়ায় মেয়ে আত্মহত্যা করবে এটাই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, মালদার কালিয়াচক থানার জালালপুর অঞ্চলের ফুলবাগ এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম ইস্মাতুন খাতুন। সে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু
বাড়ির লোকেরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি অবস্থায় সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এদিকে ওই নাবালিকার কে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিবারের লোকেরা নিয়ে আসার পর কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর রাতেই তার মৃত্যু ঘটে।
এলাকায় ঈদ মুলতুবি
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। খুশির ঈদে পরিবারের লোকেরা মায়ের মৃত্যুতে শোকাহত। মৃতদেহ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।