scorecardresearch
 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ছিনতাই, মালদায় তুলকালাম, শাসক-বিরোধী তরজা

লক্ষীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম লুটপাট। চরম বিশৃঙ্খলা। স্থানীয়দের বিক্ষোভ। হরিশ্চন্দ্রপুরের খিজিরিয়া বাঙ্গরুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তুলকালাম কাণ্ড। একে অপরের প্রতি দোষারোপের খেলা শুরু হয়েছে।

Advertisement
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিতে বিশৃঙ্খলা, ধ্বস্তাধস্তি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিতে বিশৃঙ্খলা, ধ্বস্তাধস্তি
হাইলাইটস
  • মালদায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ছিনতাই
  • বিলি কেন্দ্রে দেওয়ার আগেই লুঠপাট
  • শাসক-বিরোধী তরজা শুরু

লক্ষীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম লুটপাট

লক্ষীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম লুটপাট। চরম বিশৃঙ্খলা। স্থানীয়দের বিক্ষোভ। হরিশ্চন্দ্রপুরের খিজিরিয়া বাঙ্গরুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ফর্ম মানুষদের বিতরণ করা হচ্ছিল এই স্কুল থেকে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। এরপর ফর্ম নিয়ে আসলে সেই ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম নিয়ে রোজই গোলমাল হচ্ছে

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য জুড়ে দুয়ারে সরকারে লক্ষীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই মতো মালদা জেলাতে সেই ফর্ম বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। আর এই ফর্ম নেওয়ার জন্যই ভোররাত থেকে লাইন পড়ছে বিতরণ কেন্দ্রের সামনে। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। কয়েকদিন আগেই মালদা থানার সাহাপুর স্কুলের ফর্ম নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে অসুস্থ হন ১০ জন।তাদের মধ্যে এক শিশুও ছিল।

দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম না পেয়ে লুঠপাট

এরপর এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ফর্ম বিতরণ কেন্দ্রে ভোররাত থেকে লাইন দেয় বহু মানুষ। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ফর্ম বিতরণ কেন্দ্রে আসেনি। এরপর গ্রাম পঞ্চারেত দপ্তর থেকে কর্মীরা ফর্ম নিয়ে আসলে স্থানীয় মানুষরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর তার কাছ থেকে ফর্ম লুটপাট করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

ফর্ম কেন্দ্রে দিতে পারা যায়নি আগেই ছিনতাই

ফর্ম নিয়ে আসা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী সরোজ আলম জানান, এদিন আমাকে স্বাস্থ্যসাথী লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম দেওয়া হয়েছিল তিনটি বিতরণ কেন্দ্রের দেওয়ার জন্য। সেই ফর্মগুলি এখানে দিতে এসেছিলাম। স্থানীয়রা আমার কাছ থেকে ফর্ম লুট করে নিয়েছে।

Advertisement

মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, যারা মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না তারা মানুষকে এইভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। ফলে মানুষ বাধ্য হয়েছে ফর্ম লুট করতে। বারবার এই ধরনের ঘটনা কারা করছে। প্রশাসনের কোনো কন্ট্রোল নেই। এটা কোন ধরনের তামাশা বাজি চলছে। আমরা অনুরোধ করব এই কাজ বন্ধ করুন।

সব বিজেপির চক্রান্ত

পালটা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, পর্যাপ্ত ফর্ম রয়েছে। তা বিভিন্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। বিজেপি ষড়যন্ত্র করে এই ধরণের কান্ড ঘটাচ্ছে। বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ৫০ টাকা করে নিয়ে ফর্ম বিক্রি করছে। মা-মাটি-মানুষের সরকারের প্রকল্প সাফল্য দেখে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই তারা ষড়যন্ত্র করছে।

 

Advertisement