বিয়ের তিন মাসের মধ্যে গলা কেটে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ছিল ঈদ। শনিবার সকালে স্ত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। স্ত্রীর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদার যাত্রাডাঙা এলাকায়।
ঘটনাস্থল কোথায়
ইতিমধ্যেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্বামী রূকসাদ আলিকে গ্রেফতার করেছে মালদা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে, মালদা থানার যাত্রাডাঙা অঞ্চলের দেউলি গ্রামে।
বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে
মালদার গাজোল থানার বহিরগাছি গ্রামের বাসিন্দা রোজিনা বিবি (২৫) মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছিল পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙা অঞ্চলের রূকসাদ আলির সাথে। অভিযোগ, বিয়ের সময় যথাসাধ্য পণ দেওয়া হলেও, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণ্যের দাবিতে ক্রমাগত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত স্বামী। এ ব্যাপারে কয়েকবার আলোচনা করেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ঈদের পরই মৃতদেহ উদ্ধার
ঈদ কাটতেই, ভোরবেলা ৩ মাস আগে বিয়ে হওয়া নিজের স্ত্রীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। শ্বশুর বাড়ির লোকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে ক্রমাগত পণের দাবিতে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাতো স্বামী। ঈদে চাহিদামত দাবি পূরণ না হওয়ায় স্ত্রী কে নৃশংসভাবে খুন করেছে সে।
নিহতের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ
ইতিমধ্যেই গৃহবধূ পরিবারের তরফে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়
ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই মূল অভিযুক্ত আবার দেড় লক্ষ টাকার দাবিতে অত্যাচার শুরু করে। মেয়েটির পরিবারের তরফে এ ব্যাপারে অক্ষমতা প্রকাশ করলে, অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই ছেলেটির বাড়িতে আজ সকালে মেয়েটির গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশি হস্তক্ষেপ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালদা থানার পুলিশ। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলেই তারা এই অভিযুক্ত ও তার পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে পুলিশের পরিস্থিতিতে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত ও তার পরিবারের তরফে এই ঘটনায় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।