আগেকার দার্জিলিং আর নেই। একের পর এক বহুতলে মুখ ঢেকেছে শৈলশহর। ফলে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে। আগেকার মতো স্বাভাবিকভাবে, "যেদিকে তাকাই, সোনার আলোয় দেখি যে ছুটির ছবি" মেলে না। এখন আর উঁকি মারলে দেখা মেলে না শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘারও! একের পর এক বেআইনি বহুতল গড়ে উঠেছে পাহাড়ের ঢালে। এ নিয়ে অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। পাশাপাশি এই বেআইনি বিল্ডিংগুলোর জেরে পাহাড়ের উপর চাপ পড়ছিল। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন পরিবেশপ্রেমীরা। কিন্তু এতদিন তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অবশেষে সুন্দরী দার্জিলিংয়ের রূপ ফেরাতে উদ্যোগী হল দার্জিলিং পুরসভা। ভাঙা শুরু হল একের পর এক বেআইনি নির্মাণ। উদ্দেশ্য পাহাড়ের মনুষ্য আরোপিত বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে নতুন বেড়ানোর জায়গা লালপুল, রইল থাকা-খরচের হদিশ
এতদিন কেউ সাহস করে এই পদক্ষেপ করেনি। নয়া দল হামরো পার্টি পরিচালিত দার্জিলিং পুরসভা ক্ষমতায় আসার পরই পদক্ষেপ করা হল। পুরসভার তরপে নির্দেশিকা আগেই জারি করা হয়েছিল। বেআইনি বহুতলের মালিকদের নোটিশও ধরিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ির মালিকেরা নিজেদের অবৈধ বিল্ডিং ভাঙেননি। শুক্রবার পাহাড়ের চারটি বহুতল গুঁড়িয়ে দিল পুরসভা। চেয়ারম্যান রীতেশ পোরটেল জানান, এই তালিকায় আরও বিল্ডিং রয়েছে। ধীরে ধীরে সেই বিল্ডিংগুলিও ভেঙে ফেলা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় দার্জিলিং পাহাড়়ে অন্তত ২০-২৫টি অবৈধ বিল্ডিংয়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনওটায় তিন তলা বা কোথাও চার তলার অনুমতি ছিল। অথচ নিয়ম ভেঙে গড়ে উঠেছে তিন থেকে চার এবং চারের পরিবর্তে পাঁচতলা বিল্ডিং। বেআইনি অংশই আজ ভেঙে ফেলা হয়। ইতিমধ্যেই চারটি বাড়ির মালিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাসের এই দিনে পুজো করলে আর কোনও পুজো করতে হয় না
তবে এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকরা। এই উদ্যোগে খুশি। দার্জিলিংয়ের মূল সম্পদ যে সৌন্দর্য। তা ফিরে পেতে পুরসভার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলেই।