শিয়ালদা থেকে ট্রেনে চাপলেন। শিলিগুড়িতে এনজেপি স্টেশনে নামলেন। সেখান থেকে দার্জিলিং গেলেন। থাকলেন। আবার ফিরে চলে এলেন একই রুটে, শিয়ালদায়। হিসেব কষে দেখলেন পকেট থেকে বেরিয়েছে মাত্র ১২ শো টাকা। ভাবছেন গাঁজাখুরি গল্প? না একেবারেই নয়। এটি সত্যি। যদি আপনি হিসেব কষে এই বন্দোবস্ত করে যান। তাহলে এটাই সত্যি। তাহলে সময় নষ্ট না করে জেনে নিন, কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কীভাবে খরচ করবেন টাকা? যা আপনাকে ১২শো টাকায় বাংলার ভূ-স্বর্গ ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে।
দার্জিলিং মানেই বাংলার ভূ-স্বর্গ। টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ থেকে, হিমালয়ান মাউন্টেনারিং ইন্সটিটউট, মিউজিয়াম, চিড়িয়াখানা, তেনজিং রক, জাপানিস টেম্পল, পিস প্যাগোডা, টি-গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন আর রক গার্ডেন। শীতকালে গেলে তো একেবারেই কাশ্মীর অথবা সিমলা। একদম বরফে ঢাকা।
খরচ বেশি বলে অভিযোগ দার্জিলিংয়ের বিরুদ্ধে
তবে দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় অভিযোগ হল, এই শহর বা পর্যটনকেন্দ্র ওভারপ্রাইসড। জিনিসপত্র, থাকার জায়গা, গাড়ি ভাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অভিযোগ যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, তাও বলা যাবে না। তবে অনেকেই বুদ্ধি করে এবং হিসেব কষে যাতায়াত করেন না, তাই অযথা বাড়তি খরচ হয়। আপনি স্মার্ট না হলে সুযোগ নেওয়ার জন্য অনেক লোক অপেক্ষা করে আছে।
কীভাবে মিলবে সস্তার সুযোগ?
এবার আসি আসল কথায়। কীভাবে সস্তায় কলকাতা থেকে দার্জিলিং ঘুরে আসবেন, তা হিসেব কষে পরিষ্কার করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যাক।
আপনি যদি সোলো ট্রিপ করেন। তাহলে এটি খুব স্বাভাবিকভাবেই সম্ভব। যদি বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারের সঙ্গে ট্রিপ করেন বা তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সম্ভব। দুদিনের ছুটিতে হাওয়া বদল করতে প্রতি জনের খরচ ১২০০ টাকাতেই মিটে যাবে।
কীভাবে খরচ করবেন?
শিয়ালদা থেকে এনজেপি স্টেশন চেয়ারকারে ন্যূনতম ভাড়া ১৮০ টাকা। সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া গেলেও, সস্তার শাটল গাড়ি বেছে নিন। তাতে চাপতে অটোতে শিলিগুড়ি জংশন গাড়ি স্ট্য়ান্ডে চলে যান। খরচ হবে ২০ টাকা। সেখান থেকে ১৫০ টাকা জন প্রতি হিসেবে দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে নামুন। সেখানে ৫০০ টাকায় সস্তার হোটেল বুক করুন। সারা দিন কাটিয়ে পরদিন একই ভাবে ফের শিলিগুড়ি ফিরে আসুন। সেখান থেকে শিয়ালদা।
তাহলে মোট খরচ হল শিয়ালদা থেকে দার্জিলিং ১৮০+১৫০+২০= ৩৫০ টাকা। ফিরতি পথে আরও ৩৫০ টাকা। তাহলে মোট ৭০০ টাকা। আর এক দিন দার্জিলিং থাকার জন্য ৫০০ টাকা। ১২০০ টাকায় নিজের শহরে ফিরে এলেন। তবে শপিং বা অতিরিক্ত ঘোরাঘুরির জন্য হিসেব ধরা হয়নি। তাতে যে কেউ ইচ্ছামতো খরচ করতে পারেন। তাহলে আর দেরি কেন? এমন চাঙ্গা প্ল্যান এবার কাজে লাগিয়ে ফেলুন।