Leech Stuck In The Trachea for 15 days: পাহাড়ি ঝোরার জল খেতে গিয়েছিলেন। সেই সময় অজান্তে জলের সঙ্গে গলায় ঢুকে গিয়েছিল জোঁক। এভাবেই ১৫ দিন ধরে সেই জোঁক জীবিত অবস্থাতেই আটকে ছিল শ্বাসনালিতে। ঝর্ণার মুখে পাইপ দিয়ে জল খেতে গিয়েই বিপত্তি। জ্যান্ত জোঁক আঁকড়ে ধরে ওই ব্যক্তির শ্বাসনালি! ১৫ দিন শ্বাসনালিতেই জোঁকটি দিব্যি বেঁচেছিল। শ্বাসনালিতে কিছু একটা আটকে আছে বুঝতে পারছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কী জানা ছিল না। স্বস্তি মিলছিল না। ফলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। এরপরই পরীক্ষা করিয়ে যা দেখা যায় তাতে চোখ কপালে ওঠে।
অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় জোঁকটি
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার করে সেই জোঁক বের করা হয়। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই ব্যক্তি বলে জানা যায়। ওই ব্যক্তির নাম সাজিন রাই (৪৯)। তিনি মিরিকের বাসিন্দা। ১৫ দিন আগে একটি ঝর্ণা থেকে জল খেতে গেলে জোঁকটি তাঁর গলায় আটকায়। তারপর থেকেই তাঁর তীব্র অস্বস্তি হচ্ছিল। অস্বস্তি কাটাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বারস্থ হন তিনি। সাফল্যের সঙ্গে গলা থেকে জোঁকটি বের করায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তার অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঝোরার জলে মুখ দিয়ে জল খাওয়ার অভ্যাসেই বিপদ
মিরিকের ওই এলাকায় ঝোরার জলেই বারোমাস খাওয়া থেকে বাড়ির কাজ সারেন এলাকাবাসী। সাজিনবাবু গিয়েছিলেন পাহাড়ি ঝোরায় জল খেতে। ঝোরার মুখে পাইপ লাগিয়ে রাখেন এলাকাবাসী। সেখানে মুখ দিয় জল খেতে গিয়েই বিপদ ঘটে।জ্যান্ত জোঁক আঁকড়ে ধরে এক ব্যক্তির শ্বাসনালি। যদিও ওই সময় বুঝতে পারেননি তিনি। ১৫ দিন অস্বস্তি নিয়ে অবশেষে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার বিকেলে তাঁকে ভর্তি করানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
তৈরি হয় মেডিক্যাল টিমও
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরাও বুঝছিলেন কিছু একটা আটকে আছে রোগীর শ্বাসনালিতে। এন্ডোস্কপি করতেই ছবি স্পষ্ট হয়ে আসে। পরীক্ষা যন্ত্রে দেখা যায় জ্যন্ত জোঁক ছটফট করছে রোগীর শ্বাসনালিতে। মূহূর্তে একটি টিম গঠন করে ফেলেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র, জুনিয়র চিকিৎসকেরা তো ছিলেনই, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীও ছিলেন।