scorecardresearch
 

মহরমে জোরে ডিজে বাজাতে বাধা, থানায় ঢুকে পুলিশকে মার, ভাঙচুর, উত্তেজনা

মহরমে জোরে ডিজে বাজাতে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও কর্ণপাত না করায় ডিজে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পরে থানায় ঢুকে পুলিশকে বেধরড়ক মার, থানায় ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। উত্তেজনা মালদার খরবা থানায়।

Advertisement
পুলিশে গাড়ি ভাঙচুর পুলিশে গাড়ি ভাঙচুর
হাইলাইটস
  • থানায় ঢুকে পুলিশকে আক্রমণ, মার
  • পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, থানায় লণ্ডভণ্ড
  • ঘটনাটি লঘু করার চেষ্টা করছেন এসপি

মহরমের তারস্বরে ডিজে বাজাতে বাধা পুলিশের

মহরমে তারস্বরে ডিজে বাজানো চলছিল। পুলিশ বারণ করাতেও শোনেনি। ডিজে আটক করা হয়। এরপরই তেতে ওঠে ডিজে বাজানো যুবকরা। থানায় চলে গিয়ে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশ কর্মী বাধা দিতে গেলে আহত হয়। গোটা ঘটনায় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে।

আতঙ্ক পুলিশ ফাঁড়িতে

কালিয়াচক থানার পর ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলের খরবা ফাঁড়িতে। প্রথমে আইন ভেঙে কাজ কর্ম, তারপর বাধা দেওয়ায় পুলিশের উপর পাল্টা আক্রমণে উদ্বেগ বাড়ছে মালদা জেলায়। জেলা পুলিশের তরফেও অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এত বড় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বারবার পুলিশের ওপর আক্রমণ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডিজে

পুলিশের তরফে ডিজে বাজেয়াপ্ত

পুলিশ সুত্রে খবর,শুক্রবার ছিল মহরম। ইতিমধ্যে করোনা আবহে সমস্ত কিছু নিষিদ্ধ। এমনকী একসাথে জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে। এরই মধ্য বিনা অনুমতিতে খরবা এলাকার একদল যুবক করোনা আবহে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ডিজে বাজিয়ে বিশাল জমায়েত করে পথ নামে। ঘটনার ছবর পেয়ে খরবা থানার পুলিশ তাদের সর্তক করেন। কিন্তু কোনও কথাই তারা শোনেনি। এরপর প্রচুর জমায়েত করে দুটি ডিজে নিয়ে উদ্যোম নাচ শুরু করে। এরপরই পুলিশ আইন মেনে ডিজে আটক করে খরবা ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথর বৃষ্টি

ডিজে আটকের কিছুক্ষণের মধ্যে প্রচুর মানুষ খরবা ফাঁড়িতে জমায়েত হয় লাঠি ইঁট হাতে। ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি শুরু করে। ফাঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে চাঁচল থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নিয়ে আসে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

Advertisement

এসপি-র ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

সেই সময় ফাঁড়িতে কর্তবরত এক পুলিশ কর্মী জানান,যে ভাবে মানুষ ফাঁড়ির ভেতরে ঢুকে তান্ডব করেছে। তাতে মনে হচ্ছিল আমাদের প্রাণে মেরে ফেলবে। আমাদের বেশ কয়কটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। একজন সহ কর্মী আহত হয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। থানায় ঢুকে তাণ্ডবের পর পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া অবশ্য ঘটনাটি চাপা দেওয়ার অজ্ঞাত উদ্দেশ্যে হালকা করতে চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, "একটা ঘটনা ঘটেছে। কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।"

 

Advertisement