scorecardresearch
 

মালদায় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালো তৃণমূল, কংগ্রেস প্রধানকে অপসারণ

মালদায় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ করলো। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement
তৃণমূল-বিজেপি পাশাপাশি তৃণমূল-বিজেপি পাশাপাশি
হাইলাইটস
  • বিজেপিকে সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূল
  • কংগ্রেস প্রধানকে অপসারণ
  • ।ড়যন্ত্র বলছে কংগ্রেস-বিজেপি

মালদায় আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান অপসারিত হলেন। মানুষের কাজ করছিলেন না, অভিযোগ তুলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয় বলে দাবি অনাস্থা ডাকা সদস্যদের। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে অনাস্থা ডাকায় বিজেমুল বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। যদিও বিজেপির সদস্যরা নির্দল হয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি সদস্যদের নিজের দিকে টেনেছে তৃণমূল বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও।    

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট ১৫ টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন দখল করে কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস ৩ টি আসন, বিজেপি ও সিপিএম ২ টি করে আসন, একটি আসনে জয়লাভ করে নির্দল প্রার্থী। নির্দলের সমর্থনে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। প্রধান নির্বাচিত হন গোপাল চৌধুরী ও উপপ্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের মহিবুল হক। এরই মধ্যে দুজন সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫। গত তিন মাস আগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন তৃণমূল ও বিজেপি সদস্যরা। গতকাল ছিল সেই অনাস্থার তলবি সভা। আর এই তলবি সভায় অপসারিত হন প্রধান।   

অনাস্থাডাকা পঞ্চায়েত সদস্য মহবুল হক বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান মানুষের কাজ করছিলেন না। এলাকার উন্নয়ন হচ্ছিল না। তাই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয়। তৃণমূল ও বিজেপি একত্রিত হয়ে কংগ্রেস প্রধানকে অপসারিত করায় কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মহিবুল হক বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আসলে এরা তৃণমূল নয় বিজেমূল হয়ে গিয়েছে। 

এই বিষয়ে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির দুজন সদস্য নির্দল হয়েছেন। ফলে বিজেপির সাথে হাত মেলানোর কোনও ব্যাপার নেই। পাঁচজন তৃণমূল সদস্য এবং তিনজন নির্দল সদস্য এর সমর্থনে বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল।

Advertisement

মিথ্যা মামলার ভয় ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি সদস্যদের নিজের দিকে টেনেছে তৃণমূল অভিযোগ বিজেপির।

Advertisement