আসছে অশনি। তাই আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে অশনি সঙ্কেত। জানানো হয়েছে, আগামী ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপরে ধীরে ধীরে আরও শক্তি সঞ্চয় করে এবং ৮ মে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণঝড়ে পরিণত হবে। এর অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিকে। ১০ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে যাবে। পরে দিক পরিবর্তন করে এটি অন্ধ্র-ওড়িশার উপকূলের কাছাকাছি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এ রাজ্যেও তার প্রভাবে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এর কী প্রভাব থাকবে তা নিয়ে হাওয়া অফিসের তরফে পূর্বাভাস জানানো হয়েছে।
কয়েকটি জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাত
উত্তরবঙ্গে এমনিতেই মেঘলা আকাশ রয়েছে গত ১৫ দিন ধরেই। এর মধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হয়েছে। ঘূর্ণাবর্তের কারণে উত্তরবঙ্গে নতুন করে বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দেওয়া আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা জেলায়। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিরই সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে।
৪০ কিলোমটার ছাড়াবে না ঝড়ের গতি
পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ রবিবার ৮ মে সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুদিনই বইবে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। দিন পাঁচেকে হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলির দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। তারপর ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায়।
পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা থাকলেও দার্জিলিং-কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ধস নামার আশঙ্কা থাকায় জেলা প্রশাসনের তরফে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকবে
তবে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮০-৮৫ শতাংশ ওন্যূনতম ৪৯ শতাংশ। থাকবে। বৃষ্টি হলেও জলীয় বাষ্পের কারণে অস্বস্তি খুব একটা কমবে না। তবে ঝোড়ো হাওয়া ঠাণ্ডা করতে পারে কিছুটা।