নাম শুনলে অনেকেই ভাবতে পারেন জায়গাটি হয়তো জাপানে। আসলে এটা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম। তাবাকোশি, যা এক কথায় প্রকৃতিপ্রেমীর কাছে স্বর্গরাজ্য। মিরিক থেকে খুব কাছে এই জনপদ হই হট্টগোল কাটিয়ে শুধু সিনিক বিউটির জন্য সেরা ডেস্টিনেশন।
সুন্দরী তাবাকোশি
মিরিক থেকে কয়েক কিমি দূরে, গোপালধারা চা বাগান লাগোয়া কাছে স্নিগ্ধ সবুজ চা বাগানের কোলে অবস্থিত তাবাকোশি। বরুডিং পাহাড় এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখ জুড়িয়ে দেবেই। এখানে পর্যটকরা অনেকটা সময় চা বাগানের মাঝে কাটাতে পারবেন। সব নাম না জানা পাখিদের কিচিরমিচির, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কুলকুল, চা বাগানের স্নিগ্ধ মাধুর্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং তদুপরি সবুজ প্রকৃতি আপনার চোখকে প্রশান্তি এনে দেবে। এখানকার বৈশিষ্ট্য হল শীতে খুব শীত নয়। আর গরম এখানে পড়েই না বললে চলে। ১৭-১৮ ডিগ্রি এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
কী দেখবেন?
এখান থেকে জোড়পোখরি, লেপচাজগৎ, পশুপতির মার্কেট (ভারত-নেপাল সীমান্ত), গোপালধারা চা বাগান, মিরিক লেক, মিরিক মনেস্ট্রি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা দেখতে পারবেন। রাম্মামখোলা নদীর ঢালে অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা তাবাকোশিকে অপরূপা করে তুলেছে। মিরিক শহর থেকে মাত্র ৫ কিমি। উচ্চতা প্রায় ৩,০০০ ফুট। শীত খুব একটা বেশি না,আবার গ্রীষ্মে মনোরম। পাখি প্রেমীদের জন্যে স্বর্গ এই তাবাকোশি গ্রাম।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ির এনজেপি রেলস্টেশন থেকে অথবা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি করে এই গন্তব্যটিতে পৌঁছানো যাবে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রিজার্ভ গাড়িতে তাবাকোশি যাওয়া যায়। এছাড়াও শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতেও যেতে পারেন। হোমস্টে আগে থেকে বুক করা থাকলে তাঁরাও গাড়ি পাঠিয়ে দেন।এনজেপি থেকে তাবাকোশির দূরত্ব ৬০ কিমি।
কোথায় থাকবেন?
তাবাকোশিতে একাধিক হোমস্টে আছে। আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া ভালো। নইলে জায়গা মিলবে না।
হোমস্টের খরচ- জনপ্রতি একদিনের থাকা-খাওয়াসহ প্রায় ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা হোমস্টে ভেদে। অতিরিক্ত বারবিকিউ বা অন্য কিছু খেলে তার খরচ আলাদা।