scorecardresearch
 

Year Ending এ ভরা পাহাড়, এখনই Booking না করলে আর জায়গা পাবেন না

বড়দিন ও নতুন বছরে পাহাড়ে ভ্রমণ এর প্ল্যান থাকলে তাড়াতাড়ি বুকিং করুন হোটেল। কারণ ইতিমধ্যে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাহাড়ের সমস্ত হোটেল-হোম স্টে বুকিং প্রায় শেষ। নইলে এ বছর আর ঘোরা হবে না।

Advertisement
ভ্রমণ ভ্রমণ
হাইলাইটস
  • এখনই বুকিং করুন পাহাড়-ডুয়ার্স ভ্রমণে
  • নইলে পস্তাতে হতে পারে
  • বর্ষশেষে ভরা পাহাড়ের হোটেল-হোমস্টে

বড়দিন ও নতুন বছরে পাহাড়ে ভ্রমণ এর প্ল্যান থাকলে তাড়াতাড়ি বুকিং করুন হোটেল। কারণ ইতিমধ্যে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাহাড়ের সমস্ত হোটেলের বুকিং প্রায় শেষ। পাশাপাশি গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্র গুলিতেও অধিকাংশ বুকিং হয়েগিয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আসা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বুকিং শেষ হয়ে যাবে। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামায় ট্যুর অপারেটরদের এখন মুখে চওড়া হাসি। 

উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির সাথে পর্যটন শিল্প বরাবরই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কিন্তু করোনার কারণে গত দু বছরের বেশি সময় ধরে উত্তরের এই শিল্প বড় ধাক্কা খেয়েছে। লকডাউন এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে মানুষ এক কথায় গৃহবন্দী ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই মানুষ এখন কিছুটা সময় কাটাচ্ছেন উত্তরের পাহাড় কিংবা ডুয়ার্সে ভ্রমণ করে।

চলতি বছর পুজোর আগে থেকেই ক্রমশই পাহাড়ে আবার আসতে শুরু করেছিল পর্যটকরা। কিন্তু আগামী বড়দিন এবং নতুন বছরকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে বলে আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কারণ নতুন বছরের এখনো দু সপ্তাহ বাকি থাকলেও পাহাড়ের ৯৫ শতাংশ হোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ের গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে থাকা হোমস্টেগুলির বুকিং ইতিমধ্যে প্রায় শেষের পথে। অন্যদিকে নতুন বছরে ডুয়ার্সেও পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে বলে আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই এই সময়টা পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামে। ফলে ভিন রাজ্য কিংবা দেশ থেকে পর্যটকদের আসতে ট্রেনের টিকিট পেতেও সমস্যা হয়। তাই এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে রেলের তরফে স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন বছরে উত্তরের পাহাড় ও জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড় ঠাসা হতে চলেছে।

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পর্যটকরা যাতে ভিন রাজ্যে ভ্রমণে যেতে পারে সে জন্য আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পর্যটন মেলা। এই মেলায় বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন দফতরগুলি তাদের স্টল দেবে এবং সেখানে তাদের প্রতিনিধিরা থাকবে যাতে সহজেই ওই রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র গুলি সম্পর্কে জানতে পারে উত্তরবঙ্গের পর্যটকরা। শুক্রবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানানো হয়েছে আয়োজক সংস্থার তরফে। 

Advertisement

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ৯৫ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। এখনো প্রচুর পর্যটক ঘুরতে আসার জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাহাড়ের কোনো হোটেল আর খালি থাকবে না। তবে পর্যটকরা ঘুরতে এসে যাতে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি কে মেনে চলেন তার আবেদন রাখব।

অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অব টুরিজম এর সম্পাদক রাজ বসু বলেন, পুজোর আগে থেকেই পর্যটকরা অল্প অল্প করে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝখানে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের আতঙ্কে পর্যটকরাও কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত অরেঞ্জ ফেস্টিভাল হওয়ায় পর্যটকদের কিছুটা সাহস বাড়ায় আবার তারা পাহাড় মুখ হতে শুরু করেছে। হবে বড় দিন ও নতুন বছরের উপলক্ষে পাহাড়ের অধিকাংশ গ্রামীণ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে থাকা হোমস্টে গুলিতে বুকিং প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।

 

Advertisement