scorecardresearch
 

প্রতি বিঘায় পাঁচ মণ ধান নষ্ট, দক্ষিণ দিনাজপুরে ধানচাষে বিপর্যয়

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি, হরিরামপুর, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, হিলি সহ বিভিন্ন এলাকার চাষের খেত। প্রতি বিঘায় প্রায় ৫ মণ ধান নষ্ট হচ্ছে। ফলে যোগানে সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছে চাষি থেকে কৃষি দফতর।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • বিঘায় পাঁচ মণ ধান নষ্ট হচ্ছে
  • আবহাওয়া অনুকূল হলেই ধান কাটার পরামর্শ
  • পুকুরে পরিণত হয়েছে ধানখেত

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি, হরিরামপুর, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, হিলি সহ বিভিন্ন এলাকার চাষের খেত। প্রতি বিঘায় প্রায় ৫ মণ ধান নষ্ট হচ্ছে। ফলে যোগানে সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছে চাষি থেকে কৃষি দফতর।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট ধান

দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছেই। বুধবার পর্যন্ত টানা ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ধান খেত। ফলে মাথায় হাত চাষীদের। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ঘাটতি তৈরি হতে পারে চলতি বছরে, বলে আশঙ্কা কৃষি দপ্তরেরও।

জমির ধান কাটানো সম্ভব হয়নি

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে বলে খবর। বৈশাখের মাঝামাঝি ধান পাকা শুরু করেছে। এই ধান আরও কিছুদিন খেতে থাকার কথা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখে বেশ কিছু চাষি তাদের ধান কেটে নিয়েছে। তবে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে লকডাউনে বহিরাগত শ্রমিক না আসায় ধান কাটা যায়নি। ফলে অর্ধেক জমির ধান জমিতে রয়ে গিয়েছে বলে জেলা কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। 

পুকুরে পরিণত হয়েছে ধান খেত

সেই ধান কেটে নেওয়ার  প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল সুযোগ মতো। তা কাটার আগেই টানা ঝড়-বৃষ্টি ধান খেত দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে। অতি বৃষ্টি তাকে পুকুরে পরিণত করেছে। ফলে সেই ধান উদ্ধার করে তা কেটে বাজার জাত করা এ বছর প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে। কার্যত তাদের সম্ভব নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন কৃষি দফতরের কর্তারা।

বিঘায় পাঁচ মণ ধান নষ্ট

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর বালুরঘাট হিলি কুশমন্ডি সহ বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে ঘরে এক বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ ধান হয়। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫ মণ ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে আক্ষেপ চাষিদের। এমন আবহাওয়া চলতে থাকলে সিংহভাগ ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের।

Advertisement

কৃষি দফতরের পরামর্শ

জেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এই মরশুমে বোরো চাষিদের অনেকটাই সতর্ক থাকতে হবে। আবহাওয়া ভালোর দিকে দেখলেই দ্রুত ধান কেটে ঝাড়াই মাড়াই করে গলায় তুলে নিতে হবে। এ বছর আবহাওয়া অনেক বেশি অনিশ্চিত। লাভের গুড় পিঁপড়েয় খেয়ে যাবে।

নতুন মন্ত্রীর কাছে আশা

চাষিদের তরফে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়েছে। নতুন কৃষি বিপণন মন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থেকে হওয়ায় আশার আলো দেখছেন চাষিরা। তাঁরা মন্ত্রীর কাছি দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

 

Advertisement