দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং থেকে ডুয়ার্স, উত্তরবঙ্গের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলির মেনস্ট্রিম কিংবা অফবিট গন্তব্য ঘুরে একঘেঁয়ে হয়ে গিয়েছে? যাঁরা নিত্যনতুন পর্যটনকেন্দ্র এক্সপ্লোর করতে ভালবাসেন, জন্য দারুণ খবর নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর। ২০২৩ সালের মধ্যে ৭৫ টি নতুন পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তরাই-ডুয়ার্স-পাহাড়-জঙ্গল সমস্ত জায়গাই রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Durgapuja 2022: প্রথমা থেকে নবমী, পুজোয় কোন পোশাক পরলে মা-দুর্গার কৃপা পাবেন?
পাহাড়ে নতুন ১০ টি কেন্দ্র
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পর্যটকদের জন্য নতুন ডেস্টিনেশন প্রস্তুত করতে চলেছে তারা। তাও আবার এক-দুটি নয়, মোট অন্তত ১০টি ডেস্টিনেশন তৈরি করছে তারা। যা পুজোর পরই খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এবার পুজোয় না হলেও আসন্ন গরমের মরশুমে নতুন জায়গাগুলি ঘুরে দেখার সুযোগ মিলবে। জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু-মাসের মধ্যে দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় অন্তত ১০টি নতুন পর্যটনকেন্দ্র চালু করা হবে। সেগুলি মোটামুটি তৈরি। প্রস্তুতি শেষ মুহূর্তে। ১০টি নতুন ঠিকানা ঘোষণা করা এখন সময়ের অপেক্ষা।
লক্ষ্য ৭৫ টি পর্যটনকেন্দ্র
পশ্চিমবঙ্গ টুরিজমের ইকো-টুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম (ACT) দ্রুত ১০টি কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। পাশাপাশি গোটা উত্তরবঙ্গে ২০২৩ সালের বিশ্ব পর্যটন দিবসের আগেই ৭৫টি নতুন গন্তব্য তৈরি করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যেখানে পর্যটকরা নিশ্চিন্তে ছুটি কাটিয়ে আসতে পারবেন।
স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ৭৫ কেন্দ্র
সামনে রেখেই পর্যটনের এই ৭৫টি নতুন ঠিকানা তৈরির কর্মযজ্ঞ চলছে। নতুন ঠিকানাগুলি শুধুই পাহাড় কিংবা ডুয়ার্স ভিত্তিক হবে না, বরং উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলা ঘিরেই এই পর্যটন কেন্দ্রগুলি প্রস্তুত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে যেমন কোচবিহারের রাজঐতিহ্য রয়েছে, মালদহের গৌড় রয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাণগড় রয়েছে, তেমনই উত্তর দিনাজপুরের পাখিরালয়, বালুরঘাটের ইকোপার্ক লাগোয়া এলাকা থাকবে। এগুলি মূলত হোম-স্টে ভিত্তিক নতুন গন্তব্যগুলি তৈরির কাজ চলছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোয় সুস্থ থাকতে চাইলে এই টিপসগুলি মেনে চলুন
জনপ্রিয়তা বাড়ায় হোমস্টে ভিত্তিক পর্যটনেই জোর
দেশি বিদেশি পর্যটকরা হোটেল-রিসর্টের চেয়ে স্থানীয় সংষ্কৃতিকে জানতে এবং একেবারে স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে হোম-স্টে পছন্দ করছেন। তাই এই হোম-স্টেকে কেন্দ্র করেই নতুন পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে তৈরি করা হচ্ছে। খুব দ্রুত পাহাড়ের ১০টি পর্যটনকেন্দ্রগুলির তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং বুকিং চালু করা হবে। বাকি কেন্দ্রগুলিও কয়েক মাসের মধ্যে সামনে নিয়ে আসা হবে।