দলের নাম ঘোষণা অনিত থাপার
নতুন দল ঘোষণা করবেন আগেই জানিয়েছিলেন, এবার দলের নামও ঘোষণা করে দিলেন অনিত থাপা। নতুন দলের জন্যও আগের দলের কাছাকাছি নামই বেছে নিয়েছেন অনিত। তাঁর নতুন দলের নাম গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। আবার শর্ট-এ সিপিএমের সঙ্গেও মিল রয়েছে। গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা জিপিএম।
নতুন দলের নামের সঙ্গে মিল তিনটি রাজনৈতিক দলের
আবার সেইসঙ্গে তাঁর দলের সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মত অল ইন্ডিয়া শব্দ দুটি। নামের প্রতিটি শব্দের কারণও ব্যখ্যা করেছন অনিত থাপা। মোর্চা ভেঙে যেহেতু তিনি দল করছেন, সেহেতু থাকছে মোর্চা শব্দটি। আর তাঁর দল গোর্খাদের স্বার্থে কাজ করবে। তাই থাকছে গোর্খা শব্দটিও।
দলের প্রতীক ও নকশা চূড়ান্ত
এই নতুন দলের পতাকার রং ও নকশাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাও ৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ওইদিনই প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে গণ্য হবে দলের বলে জানিয়েছেন অনিত। অনিতের সঙ্গে এখন বড় নেতা বলতে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক অমরসিং রাই এবং ত্রিলোকচাঁদ রোকা।
রাজ্যের সঙ্গে সদ্ভাব রেখেই চলবে অনিত
অনিত অবশ্য় তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গেই রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বেশিরভাগ অংশের ধারণা, তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে চলবেন। তাহলে পাহাড়ে তাঁর দলের কাজ করাও অনেক সহজ হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর তৃণমূলের সঙ্গে থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। তাহলে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গেও তাঁর বিবাদ থাকবে না। গুরুংয়ের সঙ্গে বিরোধও বাধবে না তাঁর।
মোর্চার একক দাবিদার এখন গুরুং-রোশনরা
এদিকে বিনয় তামাং ও অনিত থাপা দল ছাড়ার পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ব্যাটন এখন রয়ে গেল বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের হাতেই। বিনয় তামাং সম্প্রতি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাই তাঁর ফের বিমলের অধীনে কাজ করার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় ফিরবেন কি না, তা অবশ্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
নিজেদের প্রতীকে লড়ার সুযোগ পেতে পারে দুদলই
২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় একই সঙ্গে দার্জিলিংয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। সেখানে মোর্চা জট মিটে গেলে নতুন দল থেকে অনিক থাপা এবং পুরনো গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নিজেদের দলীয় প্রতীকে ভোটে লড়ার অধিকার ফিরে পেতে পারে। এর আগে দুটি ভাগ হয়ে যাওয়ায় আদালত কাউকেই নিজেদের প্রতীকে লড়ার অনুমতি রদ করে দেয়। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে দুই মোর্চাই নির্দল প্রতীকে ভোটে লড়েছিলেন।