খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত নির্দোষ
নাম নির্দোষ হলেও স্ত্রীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত নির্দোষ টোপ্পোকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। প্রায় দীর্ঘ ৮ বছর পর স্ত্রীকে খুনের মামলায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল শিলিগুড়ি জেলা আদালত। শুধু তাই নয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয় নির্দোষ টোপ্পোকে।
বিছানা অগোছালো থাকায় খুন
মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারের ঘটনা এই রাজ্যে নতুন কিছু নয়। একই ভাবে আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে ২০১৩ সালে হাঁসখোয়া চা বাগান এলাকার বাসিন্দা নির্দোষ টোপ্পো বাড়িতে ঢুকে দেখেন বিছানা এলোমেলো রয়েছে। এই দেখে নির্দোষ ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়ের উপর চড়াও হয়। তার স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে মদ্যপ স্বামীর হাতে প্রাণ হারাতে হয় স্ত্রী ঊষা দেবীর।
ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা
এরপরই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ির বাগডোগরা থানায় দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল নির্দোষ টোপ্পোর ভাই জ্যোতিষ টোপ্পো। এরপর ঘটনায় অভিযুক্ত নির্দোষ টোপ্পোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তবে ৮ বছর মামলা চলার পর অবশেষে প্রায় ৮ বছর পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত নির্দোষ টোপ্পোকে সাজা শোনানো হয়।
শিলিগুড়ি আদালতে রায় ঘোষণা
শিলিগুড়ি আদালতের বিচারপতি নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। এদিন বিচারপতি অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ১ বছর জেলের ঘোষণা করেন।
মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন মা
সরকারি পক্ষের আইনজীবী অমিতাভ মুখোপাধ্যায় জানান, ৭ অক্টোবর নির্দোষ টোপ্পো মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে বিছানা এলোমেলো দেখে তার মেয়েকে মারধর করা শুরু করে। সেই সময় তার স্ত্রী ঊষা নির্দোষ টোপ্পোকে আটকাতে গেলে ছুরি নিয়ে ঊষাদেবীর বুকে আঘাত করে নির্দোষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে বাগডোগরা থানার পুলিশ নির্দোষকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দীর্ঘ আট বছর মামলা চলার পর এদিন নির্দোষ টোপ্পোকে অবশেষে দোষী সাব্যস্ত করা হল।