scorecardresearch
 

এক লেকেই 'কানাডা' হয়ে উঠেছে, কালিম্পংয়ের নতুন পর্যটনকেন্দ্র নকদাঁড়া

কানাডাকে বলে হ্রদের দেশ। দেশে প্রচুর লেক রয়েছে যা পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কালিম্পংয়ের নকদাঁড়া এক লেকেই লেক টাউন হিসেবে নজর কাড়ছে। একবার ঘুরে আসতেই পারেন, এন্টারনেটমেন্ট গ্যারান্টি।

Advertisement
নকদাঁড়া লেক নকদাঁড়া লেক
হাইলাইটস
  • লেকে পর্যটক টানছে নকদাঁড়া
  • হাতের কাছেই সহজ ডেস্টিনেশন
  • লাভা-লোলেগাঁও থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন এক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল দু'বছর আগে। কালিম্পংয়ের ‘নকদাঁড়া’তে নতুন পর্যটনকেন্দ্রটি ইতিমধ্যেই তার অপার্থিব সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে পছন্দের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে। মাত্র দু'বছরে সম্পূর্ণ নতুন একটি কেন্দ্র অপরিচিতি থেকে পরিচিতির গণ্ডিতে ঘিরতেই সুপারহিট। পর্যটনকেন্দ্রটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা। পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্র ‘নকদাঁড়া’র জন্য এলাকার অর্থনীতির সমৃদ্ধি হবে বলেও মনে করছেন জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান।

কালিম্পং শহর থেকে সামান্য দূরে নকদাঁড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি পর্যটন কেন্দ্র। এতদিন শুধুমাত্র এই রাজ্যের পাহাড়ের মধ্যে মিরিক লেককে কেন্দ্র করেই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। মরশুম-বেমরশুমে তাতে পর্যটকদের ভিড়ও হয় প্রচুর। এবার তার বিকল্প হিসেবে নকদাঁড়া দ্রুত পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে মাত্র দু বছরে।

কালিম্পং এর দু’টি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লাভা এবং লোলেগাওঁয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় এই নতুন পর্যটনকেন্দ্রটি চারিদিকে পাহাড় ও জঙ্গল ঘেরা অপূর্ব দৃশ্যের কোলাজ। মোট আড়াই একর জমির উপরে পুরো নকদাঁড়া পর্যটনকেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে লেকটি তৈরি করা হয়েছে। পাশে সুদৃশ্য বাগান এবং লনও করা হয়েছে। যেখানে বসে লেকের বোটিং উপভোগ করতে পারবেন আগত পর্যটকেরা। প্যাডেল বোটে রয়েছে বোটিংয়ের সুযোগ।

কালিম্পং শহর থেকে দূরত্ব মেরেকেটে ৪০ কিলোমিটার এবং লাভা, লোলেগাঁও থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, “যত বেশি কেন্দ্র বিকল্প হিসেবে উঠে আসবে। তত বেশি সুযোগ তৈরি হবে পর্যটক ও পর্যটন দু’ক্ষেত্রের জন্যই। এখানে যারা আসপবেন, লাভা-লোলেগাঁও এবং কাফের এলাকায় রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও রয়েছে।

১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। মাঝে লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন থমকে ছিল। ২০১৯ সালে পাহাড়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বেশ কিছু জায়গাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে দিলেও সেগুলিকে তৈরি করা হয়নি কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই নড়েচড়ে বসে জিটিএ। যদিও তাঁরা আরও আগে থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন বলে দাবি করেছেন জিটিএ কর্তারা।

Advertisement

 

Advertisement