ফের জোড়া রেড পাণ্ডার জন্ম
দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় ফের জোড়া রেড পাণ্ডার জন্ম। শৈলরানীর তোপকেদাঁড়া ব্রিডিং সেন্টারে একসঙ্গে দুটি শাবকের জন্ম দেয় রেড পান্ডা। এই নিয়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় মোট রেড পান্ডার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫। জন্ম নেওয়া রেড পান্ডা শাবকের বাবা ও মায়ের নাম নোয়েল ও শোভা বলে জানিয়েছেন ব্রিডিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিং পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক এর ডিরেক্টর জানিয়েছেন দেশের রেড পান্ডা প্রজনন প্রকল্পে এই দুটি শাবকের জন্ম উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
গত মাসেই দুটি পাণ্ডা জন্ম নিয়েছিল
গত মাসেই আরও ২ টি রেড পান্ডা কিম্ভু এবং প্রসন্ন নামে দুটি রেড পান্ডা, জোড়া শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তারপরে এক মাসের মধ্যে আরও দুটি শাবক জন্মানোয় খুশির হাওয়া পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে।
পাণ্ডা পরিবারে শ্রীবৃদ্ধি
ধরমদেও রাই জানান, মা এবং শাবক দুজনই সুস্থ রয়েছে। বিরল প্রজাতির এই রেড পান্ডা মূলত দার্জিলিংয়ের উঁচু অল্টিটিউড এলাকায় থাকে। তবে পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক রেড পান্ডা সংখ্যা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য কাজ করে চলেছে। সঠিক ভাবে প্রজনন এবং দেখভালের মাধ্যমে রেড পান্ডা পরিবারকে বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। এই চিড়িয়াখানার দৌলতেই দার্জিলিং এর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ফিরে এসেছে বিরল প্রজাতির এই রেড পান্ডা। আগে এক সময় দাপিয়ে বেড়ালেও আপাতত খুব একটা দেখা যায় না এই পাণ্ডাদের। কালো পান্ডা থাকলেও রেড পান্ডা বিরল।
পদ্মজা নাইডু পার্ক বিরল প্রাণীদের আড্ডা
পদ্মজা নাইডু পার্কে এই মুহূর্তে বিপন্ন স্নো লেপার্ড, রেড পান্ডা, পাহাড়ি ছাগল গোরাল, সাইবেরিয়ান টাইগার এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাশাপাশি নানা রকম অর্কিড এবং ভেষজ গাছ বিশেষ ভাবে এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন বিভাগের আওতায়। এই পার্কটিকে বিশেষ মর্যাদা এবং গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করা হয়। রেড পান্ডা ছাড়াও দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ব্লু শিপ, হিমালয়ান মোনাল, গ্রে পিকক, হিমালায়ান সালামান্ডার, টিবেটিয়ান উলফ দেখতে পাওয়া যায় এবং এগুলিকে প্রজনন ঘটিয়ে সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
পার্ক খোলার চিন্তাভাবনা
এমনিতে লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মন খারাপ। দর্শক নেই। আশপাশে হাঁকডাকও নেই। চারদিক স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সমস্ত পার্ক-উদ্যান খোলার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ আশাবাদী খুব দ্রুত পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে।