আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে
আকাশ কালো করে মেঘ। তার উপর মেঘ। সঙ্গে শিরশিরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, তার সঙ্গে অঝোর বৃষ্টি। কখনও মুষলধারে, কখনও থেমে থেমে। তাতেই এক ধাক্কায় অস্বস্তিকর ভ্যাপসা আবহাওয়া গায়েব। রাতের ঘুমে গায়ে চাদর টেনে নিতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে উত্তর-বঙ্গজীবনে।
সময়ের আগেই বর্ষা এল ঝমঝমিয়ে
সময়ের আগেই বর্ষা এলো উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুন বর্ষার পূর্বাভাস থাকলেও উত্তরে পূর্বাভাসকে মিথ্যে করে আগাম বর্ষা ঢুকে পরল রমরমিয়ে। রবিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের ওদের দেখান এই আকাশ কালো করে থাকছে সকাল থেকেই সোমবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। রবিবার রাতের মতই এদিন সকাল থেকেই কখনও জোরে কখনও ঢিমেতালে চলছে বৃষ্টি। পাহাড়েও তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে যার ফলে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে ধ্বস প্রবণ এলাকায়।
বিশেষজ্ঞ মতামত
উত্তরবঙ্গ সিকিমের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, মূলত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগেই উত্তরবঙ্গের দিকে ঢুকে পড়ায় বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। টানা পাঁচ থেকে ছয় দিন বৃষ্টিপাত হবে পাহাড় ও সমতলে। ফলে দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা যেমন নামবে, তেমনই জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকলেও তা অস্বস্তির কারণ হবে না।
ঘরবন্দি জনতা
একে লকডাউন, তার ওপর বৃষ্টি। টানা দু'দিন প্রায় ঘরবন্দি ছেলে উত্তরবঙ্গের জনতা। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার কিংবা দুই দিনাজপুর। পরিস্থিতি ছিল একই। তবে পাহাড়ে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রবিবার থেকেই পুরোদস্তুর বর্ষা
আবহাওয়াবিদরা কেরলে বর্ষা ঢোকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এরাজ্যে ১১ তারিখ বর্ষা ঢুকবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। তাছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে শনিবার। কিন্তু এবার নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে রবিবারই বর্ষা ঢুকে যায় উত্তরবঙ্গে।