বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল ধরা পড়ল। যার ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবারের বিমান পরিষেবা। চূড়ান্ত হয়রানির মুখে যাত্রী থেকে পর্যটকরা। অন্যদিকে এই নিয়ে গত একমাসে তিনবার এই ঘটনা নিয়ে বিমানবন্দরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বিমান পরিষেবা বাতিল হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিমানযাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে রানওয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে ফাটল
শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। কোভিড পরিস্থিতির আগে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যাত্রী বৃদ্ধিকারী বিমানবন্দর হয়েছিল। একে আন্তর্জাতিক করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। করোনা বিধিনিষেধ সরিয়ে প্রতিদিনই বিমানবন্দরে পর্যটকদের এবং বিমান যাত্রীদের চাপ বাড়ছে থাকে। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়ে পরীক্ষা করা হয়। তখনই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল দেখতে পান বিমানবন্দরের ফিল্ড স্টাফরা।
জল জমে ফাটল বলে সন্দেহ
জানা গিয়েছে, রানওয়েতে যেখানে ফাটল রয়েছে সেখানে কিছুটা জল জমে রয়েছে। এরপরই খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর কলকাতা থেকে একটি বিমান বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার কথা থাকলেও বিমানটিকে আকাশপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় এখনও পর্যন্ত বিমানবন্দর থেকে সমস্ত রকম উড়ান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে বিমানবন্দরের বাইরে যাত্রীদের ভিড় লেগে যায় ৷
এক মাসে তিনবার ফাটল ধরল রানওয়েতে
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ এবং ২২ শে মার্চ একইভাবে রানওয়েতে ফাটল ধরায় বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেদিন মোট ১১ টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল। রানওয়ে মেরামত করে সেই পরিষেবা শুরু হয় বিকেল পাঁচটার সময়। এদিন ফের ফাটল ধরা পরায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল রানওয়ে মেরামতের জন্য বন্ধ রাখার কথা
অন্যদিকে, ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল রানওয়ে মেরামতের জন্য বন্ধ রাখার কথা বাগডোগরা বিমানবন্দর। মূলত, রানওয়ের উপর তৃতীয় অংশের কাজের জন্য ওই কদিন পরিষেবা বন্ধ রাখা হতো বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই এই বিপত্তি। যার ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা।
হয়রানি যাত্রীদের
বিমান ধরতে আসা এক যাত্রী বলেন, " সকালে বিমান ধরার জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে দেখি বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। তবে কি কারণে জানি না"। আর জানলেও কিছু করার নেই যাত্রীদের কারওই। কারণ রানওয়ে মেরামত না হওয়া পর্যন্ত বিমান চালানো যাবে না। না উত্তরণ না অবতরণ করা সম্ভব।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সম্যাল বলেন, বিমনবন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। এর ফলে ক্ষতির শিকার হচ্ছে পর্যটন শিল্প এবং এই অঞ্চলের মানুষ।