পাচারের করিডর হয়ে উঠেছে। শিলিগুড়ি। গত এক মাসে নির্বাচনে পুলিশি নজর থাকার সুযোগ নিয়ে গাঁজা, ব্রাউন সুগার থেকে শুরু করে কোকেন পাচার শুরু হয়েছে। মাঝে কিছুদিন নিষ্ক্রিয় থাকলেও ফের তা সক্রিয় হয়েছে। তবে নির্বাচন মিটতেই পুলিশ ফের সক্রিয় হতেই পুলিশের জালে পাচারের চক্র।
শুক্রবারই কোটি টাকার ব্রাউন সুগার পাচারের অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের মাটিগাড়া থানা গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ওঁত পেতে থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে গত সপ্তাহেই দুটি এলাকায় গাঁজা পাচারের অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। দুটিই এনজেপি থানা এলাকার ঘটনা। বাগডোগরা থানায় ব্রাউন সুগার পাচারের অভিযোগে আরও একজনকে তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একের পর এক ঘটনায় আলাদা করে কোনও স্কোয়াড তৈরি করা যায় কি না, সে বিষয়ে পুলিশ চিন্তাভাবনা করছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশকে নিজেদের সূত্রের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ঠিকমতো কাজ করে না। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন যে পরিমাণ মাদক পাচার হয় শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে তার ১০ শতাংশও খোঁজ মেলে না। খোঁজ মিললেও তার সত্তর শতাংশ আটক করা সম্ভব হয়। বাকিটা বিভিন্ন কারণে হাত ফসকে যায়। পাশাপাশি প্রতিটি থানাতেই প্রয়োজনের চেয়ে কম কর্মী থাকায় কাজটা কঠিন। তার মধ্যে বিভিন্ন রকম ভিআইপি ও ডেপুটেশন ডিউটি করতে হয় থানার অফিসার ও কর্মীদের। তৈার মধ্যেই প্রতিকূলতা সামলে কাজ করেন তাঁরা।
শুক্রবার গ্রেফতার দুই পাচারে অভিযুক্তকে জিজ্ঞঢাসাবাদ করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগেও তাঁরা পাচারের কাজে যুক্ত ছিল। আগেও এই করিডর ব্যবহার করে তাঁরা পাচার চালিয়েছে। কার মালদহ থেকেই মূলত এগুলি নিয়ে শিলিগুড়ি ও বিহারে পাচারের ।ছক ছিল তাদের বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে দু কিলো ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। যার অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা এবং উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগার পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোাটা চক্রটিকে ধরলে এই এলাকা দিয়ে পাচারের একটা বড় চক্রকে হাতের মুঠোয় পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলায় পুলিশকে নির্বাচনী কাজে বাড়তি নজর রাখতে হচ্ছে তাতে। পাশাপাশি বিভিন্ন থানা থেকে ডেপুটেশনে পুলিশকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। সেই সুযোগে গত একমাসে ফের নতুন করে মাদক পাচার চক্র অতি সক্রিয় হয়ে পড়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তারা পাচারের ছক কষেছিল। তবে আগে থেকেই নিজেদের সোর্স কাজে লাগিয়ে মাটিগাড়া থানার পুলিশ সাধারণ পোশাকে ওঁত পেতে ছিলেন। মাদক হস্তান্তরের সময় হাতে নাতে ধরেন।