scorecardresearch
 

বাড়ির চৌহদ্দিতে মিলল হাড়গোড়, খুলি, কার নরকঙ্কাল জানতে তদন্তে পুলিশ

বাড়ির চৌহদ্দি পরিষ্কার করাতে গিয়ে চৌহদ্দিতে মিলল হাড়গোড়, খুলি। কীভাবে কার নরকঙ্কাল এল বাড়িতে, জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হচ্ছে কঙ্কালের ফরেনসিক পরীক্ষাও।

Advertisement
উদ্ধার কঙ্কাল উদ্ধার কঙ্কাল
হাইলাইটস
  • বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার
  • কীভাবে জানেন না কেউ
  • তদন্তে পুলিশ, ফরেনসিক পরীক্ষা

মেয়ের বিয়ে। তাই বাড়ি পরিষ্কার করাচ্ছিলেন গৃহকর্তা। বাড়ির বাইরের সীমানাও স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা পরিষ্কার করেচ্ছিলেন। তারপর যা পেলেন তা দেখে চোখ চড়কগাছ। তা থেকে বাউন্ডারির কাছে থেকে উদ্ধার হল নরকঙ্কাল। এই কঙ্কাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো শহরে।

সোমবার সকালে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকায় ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশনগরের সাহানি বস্তিতে উদ্ধার নরকঙ্কালকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ভক্তিনগর থানার পুলিশ পৌঁছে কঙ্কালটি উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় আজাদী প্রসাদের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। সেই সময় আজাদী প্রসাদের প্রতিবেশী রাজকুমার গুপ্তার বাড়ির সংযোগকারী টিনের বাউন্ডারি ঘেঁষা জায়গা থেকে ওই কঙ্কাল উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে রবিবার রাতেই একটি প্লাস্টিকে মোড়া বস্তায় তার পরিবারের লোকেরা ওই নরকঙ্কালটি উদ্ধার করে।

আতঙ্কের কারণে রাতে তাঁরা থানার দ্বারস্থ হননি। এরপর সোমবার সকালে ভক্তিনগর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে তাঁরা এসে কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে। এরপর সেটি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ২৮ টি হাড়ের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। তবে সেগুলি কবেকার এবং পরিচয় জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টয়ের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। তবে কি ভাবে ওই কঙ্কাল এখনে এলো তা তদন্ত করছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।

আজাদা প্রসাদের দাবি, ঝাঁড়ফুকের কারণে ওই কঙ্কালের টুকরো হয়তো আনা হয়েছিল। আসলে আমাদের বাড়িটা তুলনামূলক নীচু। বাড়ি পরিষ্কারের সময় টিন থেকে আচমকা ওই হাড়ের টুকরোগুলি পরে। এরপরই পুলিশকে ডাকি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, "তদন্ত শুরু হয়েছে। কঙ্কালগুলো ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়েছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

Advertisement
Advertisement