scorecardresearch
 

মায়ের রান্নাঘরে তালা, অভুক্ত থাকার আশঙ্কা আলিপুরদুয়ারের ৩০০ পেট

লকডাউনে দুস্থ মানুষদের আরও বিপদ ডেকে আনলো রাজ্য সরকারের প্রকল্প "মায়ের রান্নাঘর" লকডাউনের শুরুতেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হলো রাজ্য সরকারের প্রকল্প "মায়ের রান্নাঘরে" ফলে বিপাকে পড়লো শহরের ৩০০ জন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিক্সাচালক,ভ্যান চালক, টোটো চালক, লটারি বিক্রেতা,ফুটপাত ব্যবসায়ী সকলেই।

Advertisement
মায়ের রান্নাঘরে তালা মায়ের রান্নাঘরে তালা

বন্ধ হলো মায়ের রান্নাঘর

রাজ্য সরকারের প্রকল্প মায়ের রান্নাঘর লকডাউনে হাসি ফুটিয়েছিল প্রায় তিনশো মানুষের মুখে। আচমকা তালা পড়ে গেল তাতে। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে এখন এই প্রকল্প। পেটের ভাত নিয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ।

লকডাউনে দিশেহারা প্রান্তিক পরিবার

লকডাউনে দুস্থ মানুষদের আরও বিপদ ডেকে আনলো রাজ্য সরকারের প্রকল্প "মায়ের রান্নাঘর"
লকডাউনের শুরুতেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হলো রাজ্য সরকারের প্রকল্প "মায়ের রান্নাঘরে"
ফলে বিপাকে পড়লো শহরের ৩০০ জন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিক্সাচালক,ভ্যান চালক, টোটো চালক, লটারি বিক্রেতা,ফুটপাত ব্যবসায়ী সকলেই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের রান্নাঘর এখন বিশবাঁও জলে

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই "মায়ের রান্নাঘর", মা কমন কিচেনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমন কিচেনে ৫ টাকার বিনিময়ে শহরের ৩০০ জন শ্রমিক শ্রেণির মানুষদের খাবার জুটতো। মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে ভাত, ডাল, সবজি, ডিমের ঝোল খেতে দেওয়া হতো শহরে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত শ্রমিক শ্রেণির দুস্থ মানুষদের। 
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজহল্ট এলাকায় এই "মায়ের রান্নাঘর" কমন কিচেন তৈরি করা হয়েছিল।

রাজ্যের সমালোচনায় বিজেপি

তবে লকডাউনের শুরুতে আচমকাই "মায়ের রান্নাঘরে" তালা ঝুলিয়ে দেওয়াতে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, লকডাউনে কাজ হারিয়ে মানুষের খাবার জুটছে না। "মায়ের রান্নাঘর" বন্ধ করা উচিৎ হয়নি। বিধায়ক বলেন এই কমন কিচেনের উপর নিম্নবর্গের, এবং শ্রমিক শ্রেণির মানুষ নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু আচমকা এই ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়াতে লকডাউনে এই মানুষ গুলোকে অনাহারে থাকতে হবে।

তৃণমূলের নির্বাচনী চমক?

বিধায়কের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রাজনৈতিক চমক ছিল "মায়ের রান্নাঘর" প্রকল্প। নির্বাচন পর্ব মিটে যেতেই লকডাউনের মাঝে বিপদে ফেলে দেওয়া হলো খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে। যদিও এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসকের সাফাই লকডাউনে দোকানপাট, হাটবাজার,টোটো, অটো সব বন্ধ।  এখন মা কমন কিচেনে খাবার লোক নেই। তাই এই কিচেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে ফের চালু হবে "মায়ের রান্নাঘর"

Advertisement

এখানেই প্রশ্ন

এখানেই প্রশ্ন উঠছে যখন খেটে খাওয়ার সুযোগ থাকবে তখন তো অনেকেই দুপয়সা রোজগার করে খেতে পারবে। এখন যখন রোজগার বন্ধ তখন খাওয়া না পেলে পরে খাবার যুগিয়ে কি লাভ? উত্তর? দেবার প্রয়োজন মনে করেননি জেলাশাসক।

 

Advertisement