বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে ব্যাঘ্রগণনা(Tiger Count)। গরুমারা(Gorumara), নেওড়াভ্যালি (Neora Valley) ও চাপড়ামারি (Chapramari) জঙ্গলে মোট ৩০টি দল এই বাঘ গণনার কাজ করবেন বলে বন দফতরের (Forest Department) তরফে জানানো হয়েছে। বনকর্মীদের (Forest Worker) সঙ্গে বিভিন্ন পশুপ্রেমী (Animal Lovers) সংগঠনের সদস্যরাও এই দলে রয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকেই দাবি ছিল বাঘ গণনার। করোনার কারণে গণনা করা যায়নি। ২০২২ এ আবার হচ্ছে বাঘশুমারি (Tiger Count)।
তিনভাবে গণনা করা হচ্ছে (3 Way Counting)
জানা গিয়েছে তিনদিন ধরে চলবে এই বাঘ গণনার কাজ। তিনভাবে হবে বাঘ গণনা। হেঁটে(Walking), হাতির পিঠে (Elephant Riding) ও ট্র্যাপ ক্যামেরা(Trap Camera) ধরা ছবির ভিত্তিতে হবে বাঘ গণনা। পাশাপাশি (Poo Colleection) মল সংগ্ৰহ, পায়ের ছাপ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
নেওড়া ভ্যালিতে (Neora Valley) মিলেছিল বাঘের অস্তিত্ত্ব
এর আগে নেওড়াভ্যালিতে বেশ কয়েকবার বাঘের সন্ধান মিলেছে। কয়েক বছর আগে এক গাড়ি চালক মোবাইল ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরেছিলেন। পরেও ট্র্যাপ ক্যামেপরাতে ধরা পড়েছে বাঘের গতিবিধি। কিন্তু খুঁজতে গিয়ে অবশ্য তা পাওয়া যায়নি। তাই গন্ডারের মতো বাঘের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশাবাদী বনাধিকারিক থেকে পশুপ্রেমীরা।
পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ (Restriction for tourists)
এদিকে বাঘ গণনার কারণে জঙ্গলে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বেশ কিছু জঙ্গল সাফারি ও নজরমিনারে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, প্রবেশের সময়ও বদল করা হয়েছে। তবে এটি মাঝে মধ্যে সুবিধার জন্য বদলে দেওয়া হচ্ছে। তাই ঘুরতে আসার আগে জঙ্গলগুলিতে সাফারি সম্পর্কে ভাল করে খোঁজ খবর নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাঘের দেখা মিলবে আশাবাদী বনদফতর (Hope For More Tiger)
তবে বাঘ গণনার কাজ শুরু হওয়ায় উৎসাহিত বনকর্মী থেকে আধিকারিকরা। কেন না ২০১৮ সালের পর শুরু হলো বাঘ গণনা। আর সম্প্রতি গন্ডার গণনায় যেহেতু গন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে তাই বাঘের সংখ্যা বাড়বে বলেও আশাবাদী বন দফতর।