বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘ আছে কি না, তা নিয়ে কম কাঠখড় পোড়ানো হয়নি। হন্যে হয়ে খুঁজে বাঘের দেখা মেলেনি। তবে বাঘের বিষ্ঠা-পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। ফলে তারা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বাঘ আছে। কিন্তু সংখ্যায় কম। এবার বাঘের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর। অসম থেকে বাঘ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এই উদ্যোগ অনেকদিন আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে নতুন বেড়ানোর জায়গা লালপুল, রইল থাকা-খরচের হদিশ
অসম থেকে বাঘ এনে বক্সায় বাঘ ছাড়ার একটা তৎপরতা ইতিমধ্যে শুরু করেছে রাজ্যের বন দপ্তর। সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বন দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল দু'দিন বক্সার জঙ্গল ঘুরে দেখেছেন। ওই প্রতিনিধি দলের তৎপে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই বাঘ বিশেষজ্ঞরা বক্সার জঙ্গল দেখতে আসবেন। বাঘের বিচরণের জন্য বক্সার জঙ্গলে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলে বন দপ্তরের কর্তাদের অনেকেই দাবি করেছেন। ফলে বন দপ্তরের কর্তাদের কথাতেই ইঙ্গিত মিলেছে, খুব শীঘ্রই বক্সার বাঘ বনে বাঘ ছাড়া হতে পারে।
বাঘের বসবাসের পরিবেশ ও খাবার ফেরানো হচ্ছে
বাঘের খাবারের জন্য ইতিমধ্যেই সম্বর, হরিণ বাইরে থেকে এনে বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। বক্সার কোর এলাকায় থাকা গাংগোটিয়া ও ভুটিয়াবস্তির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে জয়ন্তী, ২৮ বস্তি, ২৯ বস্তির মতো বসতিগুলিকেও সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
টাইগার রিপ্রোডাকশন প্রকল্প
ব্যাঘ্র সংরক্ষণকেন্দ্রে বাঘের সংখ্যা যথেষ্ট কম। বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গত দু’তিন বছর ধরে ‘টাইগার রিপ্রোডাকশন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে সেই প্রকল্প কার্যকর করার কাজও। শীঘ্রই জঙ্গল পরিদর্শনে যাবেন গ্লোবাল টাইগার ফোরাম, ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির আধিকারিক এবং বিজ্ঞানীরা। গ্লোবাল টাইগার ফোরাম, ওয়াইল্ড লাইফ অথরিটি অব ইণ্ডিয়া ও ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির বিশেষজ্ঞরা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ঘুরে দেখার পরেই ঠিক হবে এই জঙ্গলে বাঘ কবে আসবে। শনিবার রাজাভাতখাওয়ায় বনদপ্তরের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এক সাংবাদিক সন্মেলনে একথা জানান রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল সৌমিত্র দাশগুপ্ত। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল জানান, খুব শীঘ্রই রাজ্য জুড়ে জঙ্গলের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করতে দেড় হাজার বনকর্মী নিয়োগ হবে।