ফরমুলা ওয়ানের কায়দায় পাচারকারীদের তাড়া
গভীর রাতে দুই কিলোমিটার তাড়া করে কাঠ মাফিয়াদের গাড়ি আটক করলো বন দপ্তর। উদ্ধার কয়েক লাখ টাকার অবৈধ চোরাই কাঠ। বনদপ্তরের তাড়া খেয়ে কাঠ বোঝাই গাড়ি রাস্তায় ফেলে গভীর জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে গেল কাঠ মাফিয়াদের গোটা দল।
ঘটনার অকুস্থল
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে মাদারিহাট-বীড়পাড়া ব্লকের দলগাঁও রেঞ্জের সরুগাঁও এলাকায়।
কীভাবে এল খবর
দলগাঁও রেঞ্জের আধিকারিক জানিয়েছেন রাত ১ টা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনকর্মীরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। বনদপ্তরের গাড়ি দেখতে পেয়ে কাঠ মাফিয়াদের গোটা দলটি অবৈধ কাঠ বোঝাই গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এরপর বনকর্মীরা কাঠ মাফিয়াদের গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে। প্রায় দুই কিলোমিটার গাড়িটি তাড়া করার পর কাঠ মাফিয়ারা গাড়িটি রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর বনকর্মীরা সেই গাড়িটিকে আটক করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসে। বনদপ্তর জানিয়েছে গাড়িটিতে মূল্যবান শাল ও সেগুনের লগ ছিলো।
অবশেষে কবজায় কাঠ
কাঠ সমেত ওই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। আলিপুরদুয়ারের বক্সা টাইগার রিজার্ভ এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বিভিন্ন বনবস্তি, চা বাগানের এক শ্রেণির মানুষ সহজ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে জঙ্গলের গাছ চুরি করাকেই জীবন ধারণের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
কিছু লোককে প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে চুরিতে নামানো হচ্ছে
বন দপ্তর সূত্রের খবর, লকডাউনে কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে কাঠ মাফিয়ারা বনবস্তি, চা বাগানের মানুষদের কাঠ চুরির কাজে নিয়োগ করছে। কাঠ মাফিয়াদের খপ্পরে পড়ে দরিদ্র এই মানুষ গুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে কাঠ চুরি করতে।
কাঠ মাফিয়াদের সহায়ক বনবস্তিবাসীদের একাংশ
বনদপ্তর জানিয়েছে কাঠ মাফিয়াদের খপ্পরে পড়েই স্থানীয় কিছু মানুষ জঙ্গল ধ্বংস করছে।বনদপ্তরের তরফে বিভিন্ন এলাকায় মাইকে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে।পাশাপাশি এফ,পি,সি এবং ই,ডি,সি কমিটি গুলোকে জঙ্গলে আরও কঠিন নজরদারি করতে বলা হয়েছে।