বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার ২০ টি ওয়ার্ডেই বিজেপির কাছে তৃণমূল পরাজিত হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলতে পুরসভা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে শাসক দল।
আলিপুরদুয়ার জেলার চা বলয়ের সাথেই লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকাতেও ব্যাপকভাবে পদ্ম ফুলের চাষ হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডেই ল্যাজেগোবরে হয়ে পরাজিত হয় শাসকদল। পুরভোট আসন্ন। পুরভোটকে পাখির চোখ করে পুরনির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসকদলের ভোট ম্যানেজাররা।
গোপন বৈঠক
বৃহস্পতিবার রাতে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরনির্বাচনে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আলিপুরদুয়ার পুরসভার নিউটাউন বাজারে নবভারত সংঘের দপ্তরে ওয়ার্ড ভিত্তিক দলীয় মিটিং করে জেলা এবং টাউনব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনের মিটিংয়ে হাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক প্রসেনজিৎ কর, এসজেডি-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চ্যাটার্জি, জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত ধর, দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল সভাপতি সঞ্জয় পাল প্রমুখ।
৪০০ মহিলাকে নিয়ে বৈঠক
বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে দুই নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৪০০ মহিলা হাজির ছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সত্যজিৎ ঘোষের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ মহিলা উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে মহিলাদের সার্বিক উপস্থিতি দেখে খুশি জেলা এবং টাউন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত,আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গত ২৫ বছর ধরে তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচনে জিতে আসছেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃনমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন আশিস দত্ত।
আশিসের গড় ধরে রাখাই তৃণমূলের লক্ষ্য
গত ২৫ বছর ধরে নির্বাচনে জেতার সুবাদে পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডটি কার্যত আশীষ দত্তের গড় হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক ভাবেই পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডকে টার্গেট করেই পুরসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি বাজিয়ে দিল শাসকদল। আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্ত চ্যাটার্জি জানান, পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপিকে ভোট দিয়ে মানুষ কি ভুল করেছে। এখন শুধু সাধারণ মানুষ নয়।বিজেপির নেতারাও দলত্যাগ করছে। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে তৃনমূল ২০ টি আসনেই জয়লাভ করবে।