scorecardresearch
 

ঠিকাদার দিয়ে দল চলে না, পিকেকে খোঁচা তৃণমূল বিধায়কের

খোদ দলনেত্রী যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবার নাম না করে সরাসরি তাঁকেই বিঁধলেন তৃণমূল বিধায়ক। কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী নাম না করে সমালোচনা করলেন দলের ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আই প্যাকের। মিহিরবাবু বলেন, রাজনৈতিক দলের সংগঠন চলে নেতা কর্মীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে, ঠিকাদার সংস্থার ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল চালানো সম্ভব নয়। মিহিরবাবুর এই মন্তব্যের পরেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement
মিহির গোস্বামী, তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, তৃণমূল বিধায়ক
হাইলাইটস
  • 'ঠিকাদার দিয়ে রাজনৈতিক দল চলে না'
  • নাম না করে পিকের সমালোচনায় মিহির
  • পরোক্ষে নেত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ?


খোদ দলনেত্রী যাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবার নাম না করে সরাসরি তাঁকেই বিঁধলেন তৃণমূল বিধায়ক। কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী নাম না করে সমালোচনা করলেন দলের ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আই প্যাকের। মিহিরবাবু বলেন, রাজনৈতিক দলের সংগঠন চলে নেতা কর্মীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে, ঠিকাদার সংস্থার ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল চালানো সম্ভব নয়। মিহিরবাবুর এই মন্তব্যের পরেই  নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

 

প্রশান্ত কিশোর
প্রশান্ত কিশোর

আগেও দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা

এই প্রথম নয়, এর আগেও দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূলর এই বিধায়ক। কিছুদিন আগে মিহিরবাবু অভিযোগ করেন, তাঁকে না জানিয়েই জেলায় দলের বিভিন্ন কমিটি করা হয়েছে। সেখানে এমন অনেকেই স্থান পেয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু সেসব বিষয়কে উপেক্ষা করেই দুর্নীতিপরায়নদের দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। দলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এমনকি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে বিধায়ক পদ থেকে সড়ে দাঁড়াতেও তাঁর আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মিহির গোস্বামী। 

পরোক্ষে দলের সিদ্ধান্তকে চ্যলেঞ্জ

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পরেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আই প্যাককে নিয়োগ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য একটাই, দলকে কার্যত নতুন করে গড়ে তুলে ২০২১ -এর ভোট বৈতরণী পার করা। পিকে দায়িত্ব নিয়েই দলের নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের জন সংযোগের ওপর জোর দেন। শুরু হয় দিদিকে বলো কর্মসূচি। আর এই ধরণের পদক্ষেপের সুফল তৃণমূল ঘরে তুলেছে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তারপরেও পিকে ও তাঁর সংস্থাকে এই ধরণের কটাক্ষের মধ্যে দিয়ে প্রকারান্তরে দলনেত্রীর প্রতিই মিহিরবাবু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

Advertisement

Advertisement