গরমে হাঁসফাঁস দক্ষিণবঙ্গ। প্রতিশ্রুতি থাকলেও বৃষ্টি নেইষ আর্দ্রতা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ছুটি না থাকলেও ছুটি নিয়ে পাহাড়মুখী গোটা রাজ্য। আর তার ফলে দার্জিলিংয়ে ঠাঁই নাই পরিস্থিতি। একই অবস্থা কালিম্পং, কার্শিয়ং, গ্যাংটক, মিরিক সহ অন্য়ান্য এলাকাতে। তবে টয়ট্রেনের টানে টান বেশি শৈলরানির দিকেই। আর পরিস্থিতি এমন প্রথাগত পদ্ধতিতে ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই পর্যটক আকর্ষণের কথা মাথায় রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হল টয়ট্রেনের জয় রাইড। খুশি পর্যটকরা, খুশি রেল ও পর্যটনের স্টেক হোল্ডাররাও।
জয় রাইড এখন দশটি
রেল কর্তৃপক্ষর ওই সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পর্যটকদের মধ্যে। শুধু তাই নয় আগামী দিনে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষের বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে দার্জিলিং, ঘুম, বাতাসিয়া লুপ দিয়ে আটটি জয় রাইড চালু ছিল। চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও দুটি জয়রাইড বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ি জংশন থেকে তিনধারিয়া পর্যন্ত জঙ্গল টি সাফারি ট্যুরিস্ট স্পেশাল এবং এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত এক জোড়া টয়ট্রেন চালাচ্ছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ।
এদিকে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ থাকায় পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত আটটি স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল । যে কারণে এই ভরা মরশুমেও পর্যটকদের অসুবিধা হয়নি ৷
চাহিদা বেশি, অনলাইনেও মিলছে না টয়ট্রেনের জয় রাইড
পর্যটনের মরশুমে পাহাড়ের সমস্ত হোটেলে বুকিং শেষ । এতটাই ভিড় যে অনলাইনে আগাম বুকিং করতে গিয়েও দেখছেন কোনও কোটা খালি নেই। জয়রাইডের বাইরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেনের বুকিং মেলাও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ চাহিদা বাড়ায় পরবর্তীতে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত আরও একটি টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে ডিএইচআর।
রেলের বক্তব্য
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর এ কে মিশ্রা বলেন, "আগে পাহাড়ে চারটি জয় রাইড চলত । পরবর্তীতে সেটি বাড়িয়ে ছ'টি করা হয় । মরশুমের শুরুতে পর্যটকদের চাহিদা বাড়ায় আবার আমরা বাড়িয়ে আটটি জয় রাইড চালু করি । কিন্তু এপ্রিল মাসে তাতেও পর্যটকদের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আবার তা বাড়িয়ে দশটি করা হয়েছে।"