উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির কাছে দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ১৫৩৬৬ আপ নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস।
পাঁচ-ছটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু ঠাহর করা যাচ্ছে না। কীভাবে ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা ট্রেনে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন ট্রেনটি দ্রুতগতিতে চলছিল। ব্যস আর কিছু বুঝতে পারেননি। শুধু বীভৎস আওয়াজ করে ট্রেনটি দুমড়ে গেল। যে সমস্ত কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের কথা বলার অবস্থা নেই। অন্য কামরা যেগুলি তেমন ক্ষতি হয়নি, সেগুলির যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এটুকু জানা গিয়েছে।
তবে লাইনচ্যুত হল কীভাবে তা এখনও জানা যায়নি। পাঁচ ছটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে। কয়েকটি বগি একটি আগেরকটির উপর উঠে যায়। বহু হতাহতের আশঙ্কা। গাইসালের পুরনো ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিল ঘটনাটি।
স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ জন যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সংখ্যাটা কমবেশি হতে পারে। অনেকেই দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় সংজ্ঞা হারিয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। জখমদের উদ্ধার করে রেল হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৪২ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।
দুর্ঘটনার পরই রেলের তরফে জরুরি নম্বর জারি করা হয়েছে। ৩০ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অন্তত ১২টি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। রেল ও জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। আহতদের ময়নাগুড়ি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।