দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে এসেছে। তাও আবার যেমন তেমন জয় নয়, বিপুল ব্যবধানে বিরোধীদের উড়িয়ে দিয়ে ৪৭ আসনের মধ্যে ৩৫ টি তে জয় এসেছে তৃণমূলের। এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষার পালা। কিন্তু কি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে তারা? মেয়র হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। প্রশাসক থাকাকালীন চালু হওয়া 'টক টু চেয়ারম্যান' প্রকল্পে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছিল, মেয়র হয়েই সেগুলি পূরণ করার চেষ্টা করবেন তৃণমূল গৌতম দেব। এমনটা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
পূর্ণ মর্যাদায় মেয়র হয়ে শিলিগুড়িকে উন্নয়ন ফিরিয়ে দিতে চান
গত কয়েক মাস ধরে অবশ্য শিলিগুড়ি পুরনিগমের পরিচালনার কাজ করেছেন গৌতম দেব নিজেই। রাজ্য সরকারের তরফে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে বসানো হয়েছিল। ফলে কোথায়, কী কাজ করা হয়েছে এবং কী কাজ বাকি রয়েছে সমস্ত নখদর্পণে রয়েছে তাঁর। এতদিন ছিলেন স্টপগ্যাপ দায়িত্বে। তা নিয়ে কোনও কথা শুনতে হয়নি। বিরোধীদের কাছ থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৃণমূল নেতাদের প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বিজেপি-কংগ্রেস সকলেই। সমস্ত সমালোচনার জবাব দিয়ে জনগণের ভোটে জিতে পূর্ণ মর্যাদা সেই দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন।
সাবধানী গৌতম
তবে এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি সাবধানী তিনি। সম্প্রতি এক বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রে পরাজিত হতে হয়েছিল গৌতমবাবুকে। তারপরই তাঁর রাজনৈতিক জীবন শেষ বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে শিলিগুড়ির মেয়র হয়ে তিনি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন। এবার শিলিগুড়ির উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।
প্রশাসক গৌতমের দক্ষতা প্রশ্নাতীত
এমনিতেই সংগঠকের চেয়ে প্রশাসক হিসেবে তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন প্রধান বিরোধী সিপিএম নেতা। প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের পাশাপাশি তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এবং পর্যটন দফতর সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। বিধায়ক হিসেবে না হারলে তাঁর মন্ত্রিত্ব পদ বজায় থাকতোই বলেই মনে করছেন সকলেই। এবার শিলিগুড়িতে মেয়র হিসেবে তাঁর কর্মদক্ষতা প্রমাণ করতে চান।
ইতিমধ্যেই কাজ শুরু
মঙ্গলবারই শিলিগুড়িতে পুর-আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছেন তিনি। কীভাবে কাজ করবে, তার রূপরেখা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট তৈরি করে তাঁকে জমা দিতে বলা হয়েছে।