scorecardresearch
 

টিকার লাইন বিক্রি করতে গিয়ে গ্রেফতার দুই যুবক

মাঝরাতে এসে ইঁট পেতে টিকাকরণের লাইন দখল করে বিক্রি। প্রতারণার নয়া চক্রে ভালই দুপয়সা রোজগার হচ্ছিল। খবর পেয়ে বিডিওর হস্তক্ষেপে আলিপুরদুয়ারের বারোবিশায় গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী।

Advertisement
টিকার লাইন বিক্রি করে গ্রেফতার টিকার লাইন বিক্রি করে গ্রেফতার
হাইলাইটস
  • টিকার লাইন বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার ২
  • বিডিওর চাপে গ্রেফতার করে পুলিশ
  • হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আমজনতা

টিকার লাইন বিক্রি

এবার করোনার টিকার লাইন কালোবাজারিদের খপ্পরে। পকেট থেকে দুশো টাকা দিলেই মিলবে টিকা দেওয়ার লাইনে একদম প্রথম সারিতে জায়গা। টাকা নেই ! তবে ইঁটের লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে পড়ুন। আপনার অনেক পরে টিকাকেন্দ্রে আসা ব্যক্তিটি আপনার অনেক আগেই টিকা নিয়ে উধাও। আপনি ভোর রাতে এলেও দাঁড়াতে হবে ইঁটের লাইনের পিছনে।

দুজন গ্রেফতার

ইঁট দিয়ে করোনা ভ্যাক্সিনের লাইনে জায়গা রেখে তা বিক্রি করার অভিযোগে দুই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেললো বিডিও। বিডিও মিহির কর্মকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় এমনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকলো করোনার টিকা নিতে আসা কুমারগ্রামের লালপুলের মানুষ।

বারোবিশায় বিপত্তি

ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা লালপুল এলাকার বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
কুমারগ্রাম ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার জানান স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কিছুদিন ধরেই এই বিষয়ে অভিযোগ করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র কুমারগ্রামের বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র গুলোতে গভীর রাতেই ইঁট দিয়ে করোনার টিকার লাইনে যায়গা দখল করে রাখে। এরপর সাধারণ মানুষ টিকা নিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এলে তাঁদের কাছে টিকার লাইনের ওই জায়গা চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে।

বিডিও-র হস্তক্ষেপে আটক দুষ্কৃতীরা

মিহির কর্মকার বলেন মানুষের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই জনকে  হাতেনাতে ধরে ফেলি। এরপর ওই দুই অভিযুক্তকে বারোবিশা ফাঁড়ির ওসি তাপস হোড় ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে, বারোবিশা ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

পুলিশি হস্তক্ষেপ

রাতে এসেই ইঁট পাতে অভিযুক্তরা

Advertisement

বিডিও মিহির কর্মকার বলেন ওই দুই অভিযুক্তের নাম কিশোর দেবশর্মা, এবং পরিমল রায়। বারোবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ৩০০ জনকে টিকা দেবার কাজ চলছিল। ভোর রাত থেকেই মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকার জন্য লাইন দিতে আসেন। তাঁরা এসে দেখেন লাইনের অনেক দূর পর্যন্ত ইঁট রেখে যায়গা দখল করা আছে। টিকা নিতে আসা মানুষরা ইঁটের লাইনের পর থেকে লাইনে দাঁড়ায়।

প্রশাসনের পদক্ষেপে খুশি টিকাপ্রার্থীরা

কিন্তু অনেক পরে টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা পকেট থেকে একশো, দুশো টাকা খরচ করেই পেয়ে যাচ্ছে টিকার লাইনে প্রথম সারির জায়গা। টিকা নিতে আসা প্রমোদ পাল বলেন, মানুষ এমনিতেই টিকা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তার উপর টিকার লাইনের জায়গা বিক্রি। প্রশাসন সঠিক কাজ করেছে।

 

Advertisement