ময়নাগুড়ি দোমোহনীর কাছে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার পরই শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে ঘটনাস্থলে।
তবে জখমদের সাথে দেখা করতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান রাজস্থানের দুই মন্ত্রী। মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন রাজস্থানের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী গোবিন্দরাম মেঘওয়াল এবং শক্তি প্রতিমন্ত্রী ভঁওয়র সিং ভাটি। এদিন এই দুই মন্ত্রী প্রথমে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল এ আহতদের সাথে দেখা করেন। এরপর ঘটনাস্থলে যান। জানা গিয়েছে মেডিক্যালে আহতদের মধ্যে রয়েছে রাজস্থানের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র চৌধুরী ও ঈশ্বর রাম। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রীরা বলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এসেছি । সমস্ত বিষয়টি দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব। রাজস্থান সরকার সর্বতোভাবে আহতদের পাশে রয়েছে। তবে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল রয়েছে।
স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উদ্ধারকাজ চলছে শুক্রবারও। সংখ্যাটা কমবেশি হতে পারে। অনেকেই দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় সংজ্ঞা হারিয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জখমদের উদ্ধার করে রেল হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৪২ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।
দুর্ঘটনার পরই রেলের তরফে জরুরি নম্বর জারি করা হয়েছে। ৩০ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অন্তত ১২টি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। রেল ও জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। আহতদের ময়নাগুড়ি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।