![নাম উঠে গিয়েছে](https://akm-img-a-in.tosshub.com/lingo/styles/medium_crop_simple/public/images/story/202107/whatsapp_image_2021-07-15_at_10.52.44_am.jpeg)
এক আধারে দুবার ডোজ !
জলপাইগুড়ি জেলায় এবার ভ্যাকসিন নিয়ে আধার কার্ড কান্ড। এক আধার নম্বরে দুবার প্রথম ডোজ ! ঘেঁটে 'ঘ' স্বাস্থ্য় দফতরও।
ভ্যাক্সিন বিভ্রাট
বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রথমবার ভ্যাক্সিন নেননি। অথচ ঐ হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় ভ্যাক্সিন নেওয়ার জন্য এসএমএস পেলেন জলপাইগুড়ির এক ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ঘাবড়ে যান ওই প্রৌঢ়। এমন ঘটনায় ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ওই প্রৌঢ়।
টিকাই নেননি অথচ পোর্টালে উঠে গিয়েছে নাম
জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অলীকবাবুর অভিযোগ, গত ২১ এপ্রিল তিনি ভ্যাক্সিন নেবেন বলে মহারাজা অগ্রসেন হাসপাতালে অনলাইনে তাঁর নাম রেজিষ্ট্রেশন করেন। কিন্তু সেদিন তিনি শারীরিক দুর্বলতার জন্য আর সেখানে যাননি। এর কিছুদিন পর তিনি বাড়ির কাছে জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজ থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন নিয়ে নেন।
অন্য জায়গায় টিকা
বুধবার সকালে তাঁর মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে, সেকেন্ড ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। অথচ তার ৮৪ দিন হয়নি। পাশাপাশি তিনি ঐ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আগে ভ্যাক্সিনও নেননি। তিনি ভ্যাক্সিন নিয়েছেন জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজ থেকে।
স্পিকটি নট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সহ পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় মহারাজা হাসপাতালের কোভিড বিষয়ক দায়িত্বে থাকা নরেন্দ্র কুমার আগরওয়ালের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই মুহূর্তে তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।
অভিযোগ না পেলে তদন্ত নয় স্বাস্থ্য কর্তারা
ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, এ ধরণের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে।