scorecardresearch
 

বিচ্ছিন্নতাবাদে উসকানি দিচ্ছে কারা, ঠিকুজি জোগাড় করছে সিআইডি

জন বার্লার পিছু ধরে যাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দিচ্ছেন। কিংবা নতুন করে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলছেন, তাঁদের ঠিকুজি কোষ্ঠী বের করছে রাজ্য। সবার বায়োডাটা জমা করছে সিআইডি। আর এগুলো ফাইল আকারে চলে যাচ্ছে ভবানী ভবনে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সিআইডির নজরে উত্তরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা
  • মূলস্রোতে ফেরাদেরও নজরে রাখা হচ্ছে
  • ভবানী ভবনে জমা পড়ছে রিপোর্ট

বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত

উত্তরবঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। বিজেপির মন্ত্রী জণ বারলা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলার পর একের পর এক ঝিমিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকারীরা জেগে উঠেছেন, এই সুযোগে নিজেদের দাবি আরও একবার জাতীয় দরবারে তুলে ধরার জন্য।

নজর সিআইডির

ফলে ক্রমশ শান্ত থেকে অশান্ত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে উত্তরবঙ্গ। আর সেই দিকে নজর রেখে বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করছে সিআইডি। ভবানী ভবন থেকে উত্তরবঙ্গের সমস্ত এলাকায় কারা কারা নতুন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এ মদত দিচ্ছেন তাদের ডেটা তৈরি করা হচ্ছে। এই ডাটা সমস্তই জমা পড়ছে ভবানী ভবনে।

সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা

বিজেপির পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলার পর পরই এর সক্রিয় হয়েছেন গ্রেটার কোচবিহার সংগঠনের বংশী বদন বর্মন, কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির অতুল রায় গোষ্ঠীর মেনকা রায়, অন্যদিকে পাহাড়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছেন রোশন গিরিরা। তাতে সমর্থন জুগিয়েছে বিমল গুরুঙও। 

ঠিকুজিতে বাদ যাচ্ছে না কেউ

ফলে অশান্তির শিকড় নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে আশঙ্কায় সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত তথ্য রেকর্ডে রাখতে। এরপরই সবার ঠিকুজি-কুষ্ঠি জোগাড়ে নেমেছে সিআইডি। এমনকি পুরনো কেপিপি নেতাদের যারা আত্মসমর্পণ করেননি তাদের তো বটেই যারা মূলস্রোতে ফিরেছেন তাদেরও একেবারে ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা বলে জানা গিয়েছে।

জন বার্লার পিছু ধরেই ফের সক্রিয় সবাই

সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এর সাংসদ জণ বারলা উত্তরবঙ্গ কে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন তার দাবিকে সমর্থন জানান একের পর এক বিজেপি নেতা যদিও বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব যে কলকাতা থেকে বাংলা ভাগের কোনরকম পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করলেও অনেকেই জনালার পাশে দাঁড়িয়েছেন এরপরই সুযোগ বুঝে নিজ নিজ দাবি তুলে ধরেন বিভিন্ন সংগঠন যারা একসময় সক্রিয় থাকলেও গত 10 বছরে তাদের কোনরকম নড়াচড়া ছিলনা। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য।

Advertisement

 

Advertisement