""Srabani Mela 2021 : জল্পেশে শ্রাবণী মেলাতেও টিকার গেরো

জলপাইগুড়ির জল্পেশের শ্রাবণী মেলাতেও টিকার গেরো। দুটি টিকা কিংবা আরটি-পিসিআর রিপোর্ট অথবা র্যাট এর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবেই। নইলে পুণ্য অর্জন, নৈব নৈব চ।

Advertisement
""Srabani Mela 2021 : জল্পেশে শ্রাবণী মেলাতেও টিকার গেরোজল্পেশ মন্দির-দূর থেকে প্রণমি তোমায়
হাইলাইটস
  • শ্রাবণী মেলাতেও করোনার জের
  • দুটি টিকার ডোজ এবং করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জরুরি
  • লোকসানের আশঙ্কা জল্পেশের ব্যবসায়ীদের

টিকার গেরো জল্পেশে

টিকার গেরো পড়ল জল্পেশের শ্রাবণী মেলাতেও। করোনা টিকার দুটি ডোজ অথবা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া জল্পেশ মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে নায এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বাধ্য় হয়েই তা মেনে নিতে হচ্ছে জল্পেশ মন্দির কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও তারা মন্দিরে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন।

দাবি পূরণ করতে পারছেন না বেশিরভাগই

ফলে পুণ্যার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। কারণ পূণ্য অর্জন করতে গিয়ে আরটি-পিসিআর করার মতো অত টাকা খরচ করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। একই পরিবারের একাধিক লোক গেলে তাদের খরচ আরও বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেকেরই দুটি টিকা নেওয়া হয়নি। কারও একটি টিকাও নেওয়া হয়নি। ফলে তারা এ বছরের মতো পুণ্যার্থী হিসেবে মন্দিরে প্রবেশ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে অনেকেই এই নির্দেশ জানতেন না বলে হাজির হয়ে গিয়েছেন মেলায় অথচ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি।

দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থী নেই এবার

প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে গোটা মাস ধরেই জল্পেশ মন্দিরকে ঘিরে মেলার চেহারা নেয় এলাকা। রাজ্য তো বটেই, ভিন রাজ্য এমনকী বাংলাদেশ ও নেপাল থেকেও মানুষ আসেন জল্পেশ এর মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে। গত বছর আসেননি তাঁরা। এবারও আসেননি তাঁরা।

সিদ্ধান্ত আছে, প্রচার নেই

মন্দিরের সামনে ব্যানার লাগিয়ে বিষয়টি বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। তবে সেই বিজ্ঞাপন দেখতে হলে মন্দিরে যেতে হবে। তাই তার আগে অনেকেই জানতে পারছেন না। প্রশাসনের তরফে আগাম প্রচার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পুণ্যার্থী। তাতে সহমত জানিয়েছেন স্থানীয়দের অনেকেই। সব মিলিয়ে হতাশ তারা।

বছরের পুঁজিতে টান, হতাশা

হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। অনেকেই এই এক মাসের ওপর নির্ভর করে সারা বছরের একটা বড় পুঁজি জমিয়ে ফেলেন। সেই আশাতেই গত বছর জল পড়েছিল। এ বছরও পরিস্থিতি আরও খানিকটা খারাপ হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হচ্ছে। শ্রাবণের প্রতি রবিবার থেকে সোমবার, ভিড়ে থিকথিক করে মন্দির ও মেলা চত্বর। এবার এমনিতেই সেই ভিড় অনেকটাই ফিকে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement